ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রামগতিতে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
রামগতিতে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আবিদ হোসেন নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।   পরিবারের দাবি, তাকে সাপে কামড়েছে।

অ্যান্টিভেনম না দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে তার। আর চিকিৎসকদের দাবি ছেলেটির শরীরে সাপের কামড়ের দাঁতের চিহ্ন ছিল না। তাই এন্টিভেনম দেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে তার মৃত্যু হলে দুপুরে জানাজা শেষে আবিদকে দাফন করা হয়।

আবিদ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সুইজ গেইট এলাকার ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। সোমবার (৮ জুলাই) রাতে বাবার সাথে মাছ শিকারে গেলে সেখানে আবিদকে সাপে কামড় দিয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।  

আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আব্বাছ বাংলানিউজকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাপের কামড়ে একটি ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রাতে সে বাবার সাথে মাছ শিকারে যায়। সেখানে তাকে সাপে কাটে। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় শিশুটি।

আবিদের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ছেলেটি আমার সাথে ক্ষেতে মাছ ধরতে যায়। সে আমার পেছনে ছিল। এর মধ্যে তাকে সাপে কামড় দেয়। তবে সাপটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় পুরোপুরি দেখতে পারিনি। রাতেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।  

তিনি জানান, চিকিৎসকরা তাকে নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ওই হাসপাতালে মারা যায় আবিদ।

তিনি অভিযোগ করেন, রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার ছেলেকে এন্টিভেনম দেওয়া হয়নি। ফলে বিষক্রিয়ায় তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামনা শীষ।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রাতে একটি ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের লোকজন বলছে তাকে সাপে কামড়িয়েছিল। কিন্তু সাপে কামড় দিলে দুটো দাঁতের ক্ষতচিহ্ন থাকতো। তার শরীরে সে রকম ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়নি। তবে অন্যকোন কিছুর সাথে আঘাতপ্রাপ্ত হলে যে রকম ক্ষত থাকে, তার পায়ে ঠিক ওই ধরনের ক্ষত ছিল।

তিনি বলেন, হাসপাতালে এন্টিভেনম আছে। কিন্তু সাপের দংশন সুনিশ্চিত না হলে এন্টিভেনম দেওয়া যায় না। তাই এন্টিভেনম দেওয়া হয়নি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নিয়েছে কিনা জানা নেই, মৃত্যুর বিষয়টি আমি নিশ্চিত নই।  


বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।