ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূকে মোবাইলফোন চুরির অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
যেখানে দেখা গেছে, ওই গৃহবধূকে গামছা দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ শারমিন।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে চারজনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
মামলার আসামিরা হলেন - মহেষপুর গ্রামের মো. ইসহাক মিয়া, কালাছড়া গ্রামের মো. আবুল হোসেন, মো. হুমায়ুন ও হোসেনআরা বেগম।
মামলার পর পর রাতেই উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে দুই আসামি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মিয়া ও একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার এজহারে জানা যায়, মোবাইলফোন চুরির অপবাদে গত ০৮ জুলাই বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা গৃহবধূকে মহেষুপুর গ্রামের হুমায়ুনের বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়া মাত্রই তার ওপর যৌন নির্যাতন শুরু করেন তারা। এ সময় ইসহাক মিয়া তার নাক,মুখ ও চোখে গামছা বেঁধে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গৃহবধূ। তারা লাঠি দিয়ে গৃহবধূর দুই পা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে জখম করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোবাইলফোন চুরির করেননি বলে আকুতি-মিনতি করলে আসামিরা গৃহবধূর কাপড় টেনে-হিঁচড়ে যৌন নিপীড়ন করেন।
ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার বলেন, আমাকে ইউপি সদস্য ইসহাক মিয়া ও সাবেক সদস্য আবুল হোসেন প্রায় সময়ই কুপ্রস্তাব দিতেন এবং চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারা। আমি তাদের সঙ্গে দেখা না করায় মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে তারা। আমি এর বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি আসছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান জানান, এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে এজহারনামীয় চারজনসহ অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আমরা দুইজনকে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
এসএএইচ