শাবিপ্রবি (সিলেট): কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের হামলা, গুম-হত্যার বিচার, ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গ্রাফিতি এঁকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে নানা গ্রাফিতি অঙ্কনের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গ্রাফিতি অঙ্কন, দেওয়াল লিখন ও রোড পেইন্টিংয়ে শিক্ষার্থীরা লেখেন—“ছাত্র যদি ভয় পাইতো বন্ধুকের গুলি, উর্দু থাকতো রাষ্ট্রভাষা, উর্দু থাকতো বুলি”; “রক্ত দেখলে বাড়ছে সাহস”, “তুমি কে? আমি কে? বিকল্প বিকল্প”; “শহীদ রুদ্র তোরণ”; “মেধা শহীদ”; “হামার বেটাক মারলু কেনে?“ ও “আবু সাঈদের সাহসী গ্রাফিতি”।
দেওয়ালে লিখন সম্পর্কে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা যদি পাকিস্তানের মিলিটারিদের বর্বরতা ও গুলিকে ভয় পেতো তাহলে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হতো না, উর্দুই থাকতো আমাদের রাষ্ট্রভাষা। তাই শিক্ষার্থীদের ওপর যতই অত্যাচার, গুম, খুন করা হোক না কেন, নায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। এতে সারা দেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে আমরা গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি পালন করছি।
আন্দোলনকারীদের গুম-হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রাকিব বলেন, আন্দোলনে যুক্ত থাকায় আমাদের এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত গুম ও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা কোথাও নিরাপদবোধ করছি না। অচিরেই এসব বন্ধ না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
তিনি বলেন, সরকার সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে যে গণহত্যা শুরু করেছে, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শিশুসহ সকলকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাই এসব হত্যাকাণ্ড দ্রুত বন্ধ করে সরকারকে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব বলে জানান শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
এমজেএফ