সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে শহরের সবগুলো রুট দখলে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাধারণ জনতা এবং জেলা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়াও সাতজন গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটলে পুরো শহর দখল করে নেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা ড. জান্নাত আরা হেনরীর বাসা, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সাবেক এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাসা, আওয়ামী নেতা বিমল কুমার দাসের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়া জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এমপি চয়ন ইসলামের বাসা ভাঙচুর করা হয়। বেলকুচি ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট ডা. রতন কুমার জানান, হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন গুলিবিদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
এসআই