লক্ষ্মীপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে লক্ষ্মীপুরে ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (৪ আগস্ট) রাতে জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসার সামনে থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে বিকেলে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তিনজনের মরদেহ রাখা হয়। আর আহত হয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনব্যাপী জেলা শহরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপুরে সাবেক যুবলীগ নেতা ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু লোকজনদের নিয়ে তার বাসভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে আন্দোলনকারীরা তমিজ মার্কেট এলাকায় থাকা টিপুর বাসভবনের নিচে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা টিপুর সমর্থিত লোকজনের পর আক্রমণ করে। তার বাসার সামনে সাত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীরা গভীর রাত পর্যন্ত বাসভবন ঘেরাও করে রাখে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে এলে তাদের বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।
পরে রাত ১১টার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে অবস্থান নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আন্দোলনকারীদের অবস্থান নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চেয়ারম্যান টিপুর বাসভবনের সামনে যে সাতজন নিহত হয়েছেন। এরা যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে হারুনুর রশিদ নামে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন৷
এসব বিষয়ে জানতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়েও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি৷
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৪
এসএম