ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরের মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৪
উত্তরের মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে

সিরাজগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের সব রোডে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আগের মতই চলছে গণপরিবহন, ট্রাক, লরি কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী পরিবহন।

 

তবে এখনও পুলিশ দায়িত্বে না ফেরায় সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ছাত্র, স্কাউট সদস্য, বিএনসিসি, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক পর্যাপ্ত যানবাহন চলাচল করে। ঢাকামুখী পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা যায়।

মহাসড়কের কড্ডার মোড়, হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সড়ক ও মহাসড়কে রোভার স্কাউটস, বিএনসিসি, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে।

এদিকে শহরের জনমানুষের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি। বিএনপির পক্ষ থেকে পাড়ায় মহল্লায় মিটিং করে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামও মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছে। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীসহ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।

সিরাজগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান তালুকদার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে স্বাভাবিকভাবে বাস চলাচল শুরু হয়। শুক্রবার সব রুটে যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের পরিবহন পুরোদমে চলছে। এর আগে বিএনপি নেতারা আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে আশ্বস্ত করেছে। তারপর থেকেই গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেই।

সিরাজগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আঞ্জারুল ইসলাম ও মুন্তাসির বলেন, আমরা দেশটাকে নতুনভাবে গড়তে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা কদিন ধরেই শহর পরিষ্কার ও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। কোথাও কোনো চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না।  

সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম জানান, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মন্দিরে মন্দিরে যাচ্ছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আশ্বস্ত করেছি। ব্যবসায়ীদের কাছে যাচ্ছি, মাইকিং করেছে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আর জানান, আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া উচ্ছৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জামাত ইসলামের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।  

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, স্বৈরাচার পদত্যাগের দিন থেকে সিরাজগঞ্জে এক শ্রেণীর মানুষ ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। আমি তখন থেকেই শহরের বিভিন্ন মসজিদের মাইকে বলেছি লুটপাট থেকে বিরত থাকার জন্য। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য ওয়ার্ড ওয়ার্ডে কমিটি করে দিয়েছি। পরবর্তীতে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে সড়কে গাড়ি বের করতে বলেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।