ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা সেনাবাহিনীর ‘টাস্কফোর্স’

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা সেনাবাহিনীর ‘টাস্কফোর্স’

সাভার, (ঢাকা): শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার শিল্প কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে শিল্পকারখানাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

একইসঙ্গে ‘কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্সের’ মাধ্যমে দ্রুত ঘটনাস্থলে টিম পৌঁছে যাবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় উইন্ডি গ্রুপের হলিউড পোশাক কারখানাসহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।  

এ সময় স্প্যারো গ্রুপের ডিরেক্টর এবং বিজিএমইএর পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যেখানে শিল্প কারখানা আছে সেখানে নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সেল গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রচুর টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে শ্রমিকরা বুঝতে পারে তাদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে সবাই নিরাপদে কারখানা গুলোতে কাজ করতে পারে। আমাদের শ্রমিকরা কাজের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। তারা গতকালকেও ৮১ শতাংশ খোলা কারখানায় ৯০ শতাংশের বেশি শ্রমিক কাজ করেছে। কাজেই আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই নির্ভয়ে খুশি মনে কাজে আসুন। ওই সময় আমরা মালিকরা কিছুটা শঙ্কিত হলেও শ্রমিকরা কিন্তু শঙ্কিত হয়নি। তারা কিন্তু কাজ করতে আসছেন। ’

‘আমাদের এক্সেপোর্ট যাতে কোন ভাবেই ডিলে না হয়। বায়ারের কাছে যাতে কোন ভাবে আমাদের বলতে না হয় যে, আমরা এক্সেটেনশন চাই। আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে আমরা কোন ভাবেই সেটা বলতে চাই না। ব্র্যান্ড বাংলাদেশ একটা বড় ইমেজ। এটা ধরে রাখতে আমাদের আর্মি ভাইরা খুব দ্রুত সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে। ইনশাল্লাহ আগামীকালের মধ্যে আমাদের সব ফ্যাক্টরি চালু হয়ে যাবে। ’

সাভার সেনানিবাসের কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অলরেডি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ফ্যাক্টরি ও কলকারখানাগুলোতে টহল পরিচালনা শুরু করেছে। এজন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টাস্কফোর্স প্রতিটি সেক্টরে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। সেই সেক্টর অনুযায়ী জোনভিত্তিক আমরা টহল পরিচালনা করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে, বাহ্যিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে যখন ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হবে তখন সবাই আনন্দ ফূর্তি নিয়ে কাজ করবে। আজ সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে কিছু কারখানা খোলা আছে। গতকাল থেকেই আমরা পেট্রোল শুরু করেছি। আগামীকাল থেকে ইনশাল্লাহ সব কারখানা খুলে যাবে। আমরা সেই এনভায়রনমেন্ট সৃষ্টি করে দিচ্ছি। যাতে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘টাস্কফোর্সের সাথে অন্যান্য বাহিনীও আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। কিছুদিনের মধ্যেই শিল্প পুলিশ অ্যাক্টিভেট হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে দ্রুত এই অরাজকতা রোধ করা যাবে। ছোট ছোট বাহ্যিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বড় পরিসরে কিছু হলে আমাদের ‘কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স’ যারা আছে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।