ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় ধসে যাওয়া সেই সড়ক পুনঃসংস্কার, চালু হলো যোগাযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
সালথায় ধসে যাওয়া সেই সড়ক পুনঃসংস্কার, চালু হলো যোগাযোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামের ধসে যাওয়া সেই সড়ক পুনঃসংস্কার করেছে প্রশাসন। ফলে পুনরায় চালু হয়েছে স্বাভাবিক যোগাযোগ।

 

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, চলাচলের পিচঢালা এ প্রধান সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে এসব গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে ‘সালথায় সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জনদুর্ভোগ’ শিরোনামে দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পরই নড়েচড়ে বসে সালথা উপজেলা প্রশাসন এবং পুনঃমেরামত করে সড়কটির ধসে যাওয়া অংশ।

ইউএনও মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে ধসে যাওয়া সড়কটি পুনঃমেরামত করেছি। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। লাঘব হয়েছে জনদুর্ভোগ’ 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খোয়াড় গ্রাম। যে গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। এ গ্রাম ছাড়াও আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষিপণ্য এ সড়ক দিয়েই হাট-বাজারে আনা-নেওয়া করা হয়। এছাড়া জমির ফসলও কৃষকরা এ সড়ক দিয়েই বাড়িতে আনেন। কিন্তু, গত জুলাই মাসের শুরুতে হঠাৎ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে পিচঢালা এ প্রধান সড়ক ধসে যোগাযোগ সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে খোয়াড় গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গোয়ালপাড়া, খাগইড়, গোবিন্দপুর, সেনহাটি, গৌড়দিয়া, সিংহপ্রতাপ, বালিয়া, গট্টি, ভাবুকদিয়া ও ঠেনঠেনিয়া গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে, বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকটা দ্রুতই সড়কটির সংস্কার করা হয়।  

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই ‘সালথায় সড়ক ধসে ১১ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জনদুর্ভোগ’ -এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে বাংলানিউজ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।