ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাল্টা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হলে জনতার স্রোতে পিষে ফেলা হবে: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
পাল্টা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হলে জনতার স্রোতে পিষে ফেলা হবে: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে ‘পাল্টা অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা করতে পারে- এমন খবর পাওয়ার কথা জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বলেছেন, কেউ ‘পাল্টা অভ্যুত্থানের’ কোনো চেষ্টা করলে জনতার স্রোতে তাদের পিষে ফেলা হবে। আগামীকাল সবাইকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘একতার বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক এ আহ্বান জানান।  

সমাবেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ফ্যাসিবাদীরা ভারতে বসে পাল্টা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে। এর চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে! ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস করলে কোটি মানুষের সমাগমে পিষে ফেলব। এ বাংলাদেশ ১৬ বছর পর স্বাধীনতার নতুন মুখ দেখেছে। সেই মুখের দিকে কেউ নজর দেওয়ার চেষ্টা করলে তার জায়গা এ দেশে হবে না।

সারজিস বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রতিহত করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে সব দল, মত ও ধর্ম-বর্ণের সম্মিলিত আন্দোলন ছিল। সামনে বিন্দুমাত্র বাধা এলে জনতার স্রোতে পিষে দিতে হবে। আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে।

আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ১৬ বছর ধরে যারা অত্যাচার-জুলুম করে আমাদের টুঁটি চেপে ধরেছে, তারা বাংলার মাটিতে কোনো ষড়যন্ত্র করতে চাইলে প্রতিরোধ করতে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ১৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের দোসররা ক্যু করার জন্য রাস্তায় সংগঠিত হবে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তারা রাস্তায় আসার কোনো ধরনের চিন্তা করলে ছাত্র-জনতা তাদের পা ভেঙে দেবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। এ দেশে সবার প্রাথমিক পরিচয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয়। এ দেশে কোনো ধরনের বৈষম্য করা হবে না।

আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে খুনি হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ফ্যাসিস্টদের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র চালু রেখেছে। একটি সফল গণবিপ্লবের পর দেশের সংখ্যালঘু ভাইদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র আমরা সফল হতে দেব না। আগামীকাল কেউ ষড়যন্ত্র করতে এলে তাদের প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত আছি।


সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রভাষক মাহাদী হাসান, সাবেক ছাত্র আলী আহসান জুনায়েদসহ অনেকে বক্তব্য দেন।  

সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে শাহবাগ থেকে গণপদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে রাপা প্লাজার সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মোমবাতি প্রজ্বালন ও দোয়া-প্রার্থনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
ইএসএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।