সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৮ আগস্ট) র্যাব এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ইনচার্জ নাজমুল আহসান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহরের দক্ষিণ পলাশপোল এলাকার মন্টু কারিগরের ছেলে সুলতান আহমেদ (২০), ছাত্তার গাজীর ছেলে আবদুল গফুর গাজী, পলাশপোল দক্ষিণপাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ হোসেন জনি এবং কামালনগর গ্রামের সিদ্দিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে জুম্মাতুল ইসলাম বনি। তাদের মধ্যে সুলতান আহমেদ ০৫ আগস্টের পরে উঠতি সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
র্যাব এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ইনচার্জ নাজমুল আহসান জানান, ২৬ আগস্ট রাতে শহরের নিউমার্কেট এলাকায় আবদুল্লাহ হোসেন জনির বাড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন আশাশুনি এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী। পরের দিন সকালে জনির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে। মঙ্গলবার নির্যাতিতা তরুণীর বাবা বাদী হয়ে সুলতান আহমেদ, আব্দুল গফুরসহ ৬ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
তরুণীর বাবা জানান, দু’মাস আগে ভ্যান থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় তার মেয়ে। সেই থেকে সে কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। ২৬ আগস্ট সে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে সে সাতক্ষীরায় আসে। নিউমাকের্ট এলাকায় অবস্থানকালে আসামিরা তাকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নির্যাতিতা তরুণী সাতক্ষীরার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সুলতান আহমেদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং শহরের নিউমার্কেট ও পাকাপোলের মোড়সহ একাধিক এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি শহরের পাকাপোলের মোড়ে মো. আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতে ব্যাপক মারধর করে সুলতান আহমেদ ও বাবু হোসেনসহ সন্ত্রাসীরা। এসময় সাংবাদিক রবিউল ইসলামের ছেলে আল শাহারিয়ার রুমন ও আল মেহরাব রুহান সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে গেলে তাদের লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। কেঁড়ে নেওয়া হয় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
আরএ