চাঁদপুর: দেশে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমাদানের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।
চাঁদপুর জেলায় লাইসেন্স করা ১২২টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ১২১টি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র জেলার থানাগুলোতে জমা হয়েছে।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সরকারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেসব লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ জেলার থানায় জমা দিতে বলা হয় লাইসেন্সপ্রাপ্তদের।
জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আলোচিত চেয়ারম্যান সেলিম খানের খোয়া যাওয়া শর্টগান উদ্ধার হলেও পিস্তলটির সন্ধান এখনো মেলেনি। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সেলিম খান ও তার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এসময় সেলিম খানের লাইসেন্স করা একটি পিস্তল ও একটি শর্টগান খোয়া যায়।
চাঁদপুর সদরের বাগাদি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আহসান তালুকদার শর্টগানটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে এখনো পিস্তলটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, আমি গত ১ সেপ্টেম্বর এ থানায় যোগদান করেছি। সেলিম খানের পিস্তল খোয়া যাওয়ার বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪
এসআই