ফেনী: ফেনীর ফুলগাজী বরইয়া গ্রামের বয়স ৮০ পেরিয়ে যাওয়া হাসিবালার মুখের হাসিটুকু কেড়ে নিয়েছিল বন্যা। বুক পরিমাণ পানিতে ডুবেছে ঘর-বসতি।
ফেনীতে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ, চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সরবরাহ কাজ চলমান রেখেছে বিমান বাহিনী। বন্যার শুরু থেকে এখনও তারা মাঠে আছেন। এ দফায় আরও পাঁচ হাজার পরিবার পাচ্ছে খাদ্য সহায়তা। সব মিলিয়ে ফেনীতে ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বাংলার আকাশ রক্ষাকারী এ বাহিনী।
বন্যা কেটে গেলেও তার রেশ কাটেনি এখনও। দেখা দিয়েছে খাবারের অভাব, তার ওপর দেখা দিয়েছে পানি বাহিত নানা রোগ। সব মিলিয়ে যেন দিশেহারা দশা বানভাসিদের। এমন অবস্থায় বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে বিমান বাহিনী।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মো. ফাহিম বলেন, দুর্যোগের সময় বিমান বাহিনী ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে মাঠে কাজ করছে।
রোববার থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আরও একদিন। ত্রাণের পাশাপাশি পরিচালিত হচ্ছে মেডিকেল ক্যাম্প। সেবা নিতে এসেছেন বন্যার্তরা।
স্কোয়াড্রন লিডার ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, মেডিকেল ক্যাম্পে আসা রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও রয়েছে চর্ম রোগে আক্রান্ত রোগী। বিমান বাহিনী একদম বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ বিতরণ করছে।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাদমান আবিদ বলেন, ঢাকা থেকে আসা ত্রাণগুলো একদম প্রান্তিক জনপদে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে বাহিনীর সদস্যরা। ত্রাণ পেয়ে খুশি গ্রহীতারাও।
ফেনীতে স্বরণকালে বিপর্যয়কর বন্যায় প্রথম দিন থেকে এখন অব্দি মানুষের পাশে ছিল বিমান বাহিনী। উদ্ধার থেকে ত্রাণ বিতরণ সরব ছিল সবখানে।
এ দফায় ৫২ টন ত্রাণ ও খাবার পানি বিতরণ করছে বিমান বাহিনী। দুই ধরনের ফুড প্যাকে চাল, ডাল, তেলসহ শুকনো খাবার, বিতরণ হচ্ছে পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
এসএইচডি/আরআইএস