ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার কারণে দেশের মানুষ নিপীড়িত শাসন ব্যবস্থাকে বিতাড়িত করতে পেরেছে। তবে এই আন্দোলন শুধুমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং রাষ্ট্রের অপব্যবস্থার বিরুদ্ধেও ছিল।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হঠানো গেলেও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা এখনও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা আন্দোলনের গতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছে। তারা কখনও আনসার বা ভিন্ন রূপে ফিরে আসেন। তাই আমরা লঙ্কার সিস্টেমকে বদলাতে চাই, যাতে কেউ লঙ্কায় গিয়ে রাবণ হতে না পারে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামনে সংখ্যালঘুদের দুর্গাপূজাকে ঘিরে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করে ছাত্র সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন ও সফল করতে ছাত্র-জনতাসহ সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান আব্দুল কাদের।
এছাড়া তিনি বলেন, যারা ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝড়িয়েছে, তাদের অচিরেই বিচারের আওতায় আনা হবে। আন্দোলনে নিহত ও আহতদের কল্যাণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফাউন্ডেশন গঠনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফাউন্ডেশন গঠনের পর প্রত্যেক নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা ও একজন করে সরকারি চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
সীমান্ত হত্যার বর্বরতার কথা উল্লেখ করে আব্দুল কাদের বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে কিন্তু সে সম্পর্ক কোনো নতজানু সম্পর্ক হবে না। সেই সম্পর্ক হবে ন্যায্য ও সমমর্যাদার।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন যেভাবে সফল হয়েছে, আন্দোলন পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারকেও সফল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হামযা মাহবুবে সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহ সমন্বয়ক আতিক মুন্সী, খালিদ হাসান, মো. মহিউদ্দিন, সমন্বয়ক জিয়া উদ্দিন আয়ান, আলী আহমেদ আরাফ. মো. ইব্রাহিম। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এসআরএস