ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি মা ও মেয়ের। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে নিখোঁজ গৃহবধূর স্বজনের কাছ থেকে।
নিখোঁজরা হলেন-উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামের শাহাদাৎ মোল্লার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ও তার দুই বছরের মেয়ে তানহা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার কোদালীয়া শহীদ নগর ইউনিয়নের পাইককান্দি এলাকার মিজানুর রহমান মোল্লার ছেলে তাহমিদ মোল্লার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যৌতুকের জন্য তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। একপর্যায়ে গত ২৫শে জুলাই যৌতুকের দাবিতে ইয়াসমিনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পাশবিক নির্যাতন করে। খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকেরা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা পারভীন আক্তার গত ২৬ জুলাই নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর থেকে ইয়াসমিন ও তার মেয়ে বাবার বাড়ি গুনপালদীতে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে তানহাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে ইয়াসমিন ও তার মেয়ে তানহা।
এরপর ইয়াসমিনের মা পারভীন আক্তার ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ২৩ দিন হয়ে গেলেও কোনো খোঁজ নেই ইয়াসমিন ও তার মেয়ে তানহার।
এ বিষয়ে পারভীন আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ কারণে আমরা নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করি। সে মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে ও নাতিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতে পারে। আমি আমার মেয়ে ও নাতনির সন্ধান চাই।
এ বিষয় ইয়াসমিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির মোল্লা বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছি। এখনও ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়েকে খুঁজে পাইনি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
আরএ