ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মণ্ডপগুলোতে ভক্ত-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়, নিরাপত্তায় সন্তুষ্টি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
মণ্ডপগুলোতে ভক্ত-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়, নিরাপত্তায় সন্তুষ্টি

ঢাকা: প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীর মন্দিরগুলোতে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সাধারণত সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিনই সকাল থেকে শুরু হয় পূজা।

তবে এবারই প্রথম তিথির (পূজা দিন সময়) কারণে অষ্টমী ও নবমী আলাদা দিনে না হয়ে একদিনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  

যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পূজার আনুষ্ঠানিকতা একদিন কম হয়েছে, তবুও পুরোহিতরা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পূজা পরিচালনা করেছেন।

ভক্তদের অনেকেই বলছেন, পূজার আনুষ্ঠানিকতা যতই কম হোক না কেন, ভক্তদের মনে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ও ভক্তি অটুট রয়েছে।

নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সন্তুষ্ট সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাজধানীর রমনা কালী মন্দির, জগন্নাথ হলের উপাসনালয়, ঢাকেশ্বরীসহ আশপাশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভক্তরা মন্দিরে এসে পূজা-অর্চনা করছেন। অনেকে আবার শুধু পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখছেন। এদিকে মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ভলান্টিয়াররা ভক্তদের ও দর্শনার্থীদের মাঝে পূজার প্রসাদ বিলি করছেন। প্রতিটি মন্দিরে ভক্তরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছেন।  

এদিকে পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রতিটি মন্দিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। দর্শনার্থীরা পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা তল্লাশি শেষ করে মন্দিরে প্রবেশ করছেন।  

সকালে অষ্টমীর পূজা শেষ হওয়ার পর, বিকেলে রমনা কালীমন্দির সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানরা।

এবারের পূজার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে রমনা কালী মন্দিরের পূজা উদ্‌যাপন কমিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মৃণাল মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, এবারের পূজায় নিরাপত্তাজনিত কোনো ধরনের সমস্যা নেই। গেলবারের থেকে এবারের লোকও অনেক বেশি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মন্দিরে আসছেন। আমাদের সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে।  

তিনি বলেন, এবারই প্রথম পূজায় অষ্টমী এবং নবমী একদিনে পড়ে গেছে, তিথির কারণে। সকালে অষ্টমী পূজা হয়ে গেছে এবং শেষ রাতে নবমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল দশমীর মাধ্যমে পূজার সমাপ্তি হবে। অন্যান্য সময় দুর্গাপূজায় সাধারণত একদিন বাড়তি সময় পেতাম, এবার এটা না পাওয়ায় পূজার আনুষ্ঠানিকতা কমে যাওয়ায় আনন্দ কিছুটা কমে গেছে।  

পরিবার নিয়ে জগন্নাথ হলের মণ্ডপ ঘুরতে আসেন তেজগাঁও এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত কুমার দাস। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজ পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে এসেছি। সবাই মিলে মায়ের দর্শন করছি। আমি ছোটবেলা থেকেই দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপ ও মন্দিরে আসি। ছোটবেলার মতো আজও সেই আনন্দ পাই। দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আজ আমরা সবাই মিলে মিশে এই উৎসব উদ্‌যাপন করছি, এটা আমাদের একতা প্রদর্শন। আমি চাই, এই উৎসব সবার জন্য শান্তিপূর্ণ হোক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।