ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার ফাইটারদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার ফাইটারদের

বরিশাল: প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার ফাইটারদের।

এমন তথ্যই জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার ফাইটাররা।

তারা জানান, ফোম, গজ ও তুলায় আগুন লাগায় প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগুনের সূত্রপাতের স্থলে অক্সিজেনের অভাবের পাশাপাশি কিছু দেখাও দুষ্কর হয়ে যায়।

আর ধোঁয়ার কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বরিশালের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, সকাল ৯টা ৩ মিনিটে আমরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাই। স্বল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে এবং আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

মিজানুর রহমান বলেন, তবে যেখানে আগুনের সূত্রপাত বলা হচ্ছে, সেখানে তুলা, গজ, ফোম (ম্যাট্রেস) থাকায় প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরো পাঁচতলা ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেই ধোঁয়া ফ্যানের মাধ্যমে ভবনের মধ্য থেকে বাইরে বের করে আগুন নেভাতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে তারা হাসপাতালে অবস্থানকালে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারা আসার পর ভবনের ভেতরে আটকে পড়া ৬০-৭০ জন রোগী নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সেচ্ছাসেবক সজীব নামে এক যুবক জানান, শুরু থেকেই এত ধোঁয়া হচ্ছিল যে ফায়ার ফাইটাররা অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মাস্ক ব্যবহার করে ভেতরে যান আগুন নেভানোর কাজ করতে। তারপরও ফায়ার ফাইটারদের অনেকেই অসুস্থ বোধ করলে বাইরে বের হয়ে আসেন। যদিও বিশেষ ফ্যানের মাধ্যমে ধোঁয়া বাইরে বের করে আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যান তারা।

উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ড ঘটা এ ভবনটিতে মেডিসিন বিভাগের পাঁচটি ওয়ার্ডের ১০টি ইউনিট ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডের রোগীরা ছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৭০ জন ডেঙ্গুরোগীসহ ৫৪৩ জন রোগী ছিলেন ভবনটিতে। এছাড়া রোগীদের স্বজন, নার্স, চিকিৎসক, স্টাফরাও সেখানে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।