শরীয়তপুর: শরীয়তপুর পৌরসভার নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ অফিস থেকে আব্দুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়ম বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জেলা বিদ্যুৎ অফিস থেকে আবদুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত ৯২৫ মিটার সিসি ঢালাইয়ের রাস্তা ও ড্রেনের কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হামিম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড শেখ এন্টারপ্রাইজ (জেভি)। তবে কাজটি করছেন শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ। রাশেদ রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করছে। প্রচুর মাটি থাকার পরও পাথরগুলো না ধুয়ে ব্যবহার করা হয়। ৪ টুকরি পাথর, ৩ টুকরি বালি ও একটি সিমেন্ট মিক্সচার করে ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ৬-৮ টুকরি পাথর, ৪-৫ টুকরি বালু এবং একটি সিমেন্ট। প্রতিটি খাঁচায় দেওয়া হচ্ছে একটি-দুটি করে রড কম। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান রাশেদ যেখানেই কাজ করেন, সেখানেই অনিয়ম করেন। আমাদের রাস্তার কাজেও অনিয়ম করছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তবে ঠিকাদার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান রাশেদ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও ওই সাইটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মামুন গাজী বলেন, আমাকে একাধিক কাজের সাইটে যেতে হয়, এর ফাঁকে হয়তো একটু অনিয়ম করে।
তবে ঢালাইয়ের রডের খাঁচায় একটি করে রড কম দেওয়া হয় বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ অফিস থেকে আব্দুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত ৯২৫ মিটার সড়কের কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজে অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে পাথরের মধ্যে মাটি ছিল বেশি, তা পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
এসআরএস