ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাম্প কেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
ট্রাম্প কেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন?

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে ‘নগ্ন বিদেশি হস্তক্ষেপ’র অভিযোগ এনে জরুরি তদন্ত চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  

ওয়াশিংটনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা অভিযোগে ট্রাম্প দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচার চালাতে কিছু ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে।

 

নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাজ্যের স্বেচ্ছাসেবীদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সাধারণত মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টির সদস্যরা ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জন্য আর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা রিপাবলিকান প্রার্থীর জন্য প্রচার চালিয়ে থাকেন।

ট্রাম্পের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেবার পার্টির অপারেশন প্রধান সোফিয়া প্যাটেলের করা একটি পোস্টের উল্লেখ করা হয়। যেখানে তিনি জানতে চেয়েছিলেন তার কর্মীদের মধ্যে কারা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক।

তিনি লিখেন, সাগরের ওই পাড়ে আমাদের বন্ধুদের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে সহায়তা করতে কারা আগ্রহী? চলো 'ইয়াঙ্ক'দের দেখিয়ে দেই কিভাবে নির্বাচনে জিততে হয়।   

প্যাটেল আরও লিখেন উত্তর ক্যারোলিনা, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া এবং ভার্জিনিয়ার মত সুইং স্টেটগুলোতে তার দলের শতাধিক বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তারা ভ্রমণ করছেন। তিনি লিখেন আরও ১০ জনের জায়গা এখনো খালি আছে, আর থাকার ব্যবস্থাও আমরাই করবো।    

অভিযোগ পত্রে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতিও দেওয়া হয়েছে যাতে বলা হয়েছে ‘ব্রিটেনের লেবার পার্টির সঙ্গে যুক্ত কৌশলবিদরা কমলা হ্যারিসকে কীভাবে অসন্তুষ্ট ভোটারদের ফিরে পেতে প্রচার চালানো যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। ’

অভিযোগের জবাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার পার্টির কর্মকর্তারা অবসর সময়ে হ্যারিসের জন্য কাজ করছেন। লেবার পার্টির স্বেচ্ছাসেবকরা, প্রতিটি মার্কিন নির্বাচনে  গেছে। তারা তাদের অবসর সময়ে এটি করছে, তারা অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেখানে অবস্থান করছেন। আগের নির্বাচনে তারা যা করেছে, এই নির্বাচনেও তারা তাই করছে এবং এটি সত্যিই সোজাসাপ্টা একটি বিষয়।

তবে মার্কিন ফেডারেল আইন অনুসারে, রাজ্য বা স্থানীয় নির্বাচন অথবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীর সমর্থনে বিদেশি নাগরিকদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অর্থ বা অনুদান দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রার্থীদেরও অনুদান চাওয়া বা অন্য কোনও সাহায্য গ্রহণ না করারও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান এবং কানাডিয়ান স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ক্রিস্টোফার ফেলপস আল জাজিরাকে জানান, অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি সহায়তা নেওয়ায় কয়েক বছর আগে বার্নি স্যান্ডার্সকে যেভাবে জরিমানা করা হয়েছিল সম্ভবত ডেমোক্রেটদেরও একইভাবে জরিমানা হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এমএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।