ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপিকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিলো যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপিকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিলো যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মানবিক প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে ইউএসএইড-এর ব্যুরো ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স (বিএইচএ)।

বৃহস্পতিবার ডব্লিউএফপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই সহায়তা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য উভয় ধরনের অর্থ ও পণ্য অন্তর্ভুক্ত করবে।

তহবিলটি জীবনরক্ষাকারী খাদ্য এবং পুষ্টি সহায়তা প্রদান, ক্যাম্পে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করার কাজে ব্যবহৃত হবে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের শিশু এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলারাও অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য সহায়তা পাবেন।

বাংলাদেশে ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর রিড আঁইশেলমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য এ গুরুত্বপূর্ণ অর্থায়নে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি অবিচল রয়েছে। ’

সংস্থাটি বলছে, এখন সঙ্কটের অষ্টম বছরে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে, যেখানে চলাচলে বাধা, কাজের অভাব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে।

২০২৩ সালে, কম অর্থায়নের কারণে ডব্লিউএফপি খাদ্য বরাদ্দ ১২ মার্কিন ডলার থেকে ১০ ডলার, এবং তারপর ৮ ডলারে কমাতে বাধ্য হয়েছিল। সে সময় পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ক্যাম্পে রোহিঙ্গা পরিবারের খাদ্য গ্রহণের হার তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে, এবং বৈশ্বিক তীব্র অপুষ্টির হার ১৫.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ডব্লিউএইচও-এর শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ১৫ শতাংশ জরুরি সীমার ওপরে।  

যুক্তরাষ্ট্রের অবদান কক্সবাজারে খাদ্য বরাদ্দ পুনরুদ্ধারে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে, ডব্লিউএফপি রেশন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয় এবং আগস্ট নাগাদ, রেশন পুনরায় সম্পূর্ণ করে প্রতি ব্যক্তির জন্য ১২.৫০ মার্কিন ডলার করা হয়। প্রথমবারের মতো, সহায়তা প্যাকেজে সুরক্ষিত চাল যুক্ত করা হয়েছিল। তবে, পূর্ণ রেশন বজায় রাখতে এবং আগামী বছর পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রায় ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন।

ডব্লিউএফপির বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেল্লি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের এবং অবিচল সহায়তার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমি আশা করি অন্যান্য মানবিক এবং উন্নয়ন অংশীদাররাও তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে। একসঙ্গে কাজ করলেই আমরা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারবো যতক্ষণ না তারা নিরাপদে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করতে পারে। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।