চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় প্রজনন রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ২১ দিনে ৩৭২ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। এর মধ্যে নৌপুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭২ জেলে ও টাস্কফোর্সের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে ২০০ জেলে।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা ও চাঁদপুর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২১ দিন জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় দিন-রাতে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স ৬০২টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২০০ জন জেলে। এদের মধ্যে ১৫৮ জেলেকে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং ৪২ জেলেকে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
চাঁদপুর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম ইকবাল বলেন, টাস্কফোর্সের সহযোগিতায় নৌপুলিশ গত ২১ দিনে ১৭২ জেলে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ১১৯ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। এছাড়া ১৯ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে জব্দ হয় ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্টজাল, ৬ হাজার ৩২৬ কেজি ইলিশ ও ৪৯টি মাছ ধরার নৌকা। এর মধ্যে সাতটি নৌকা থানা হেফাজতে, ২৭টি নৌকা ঘটনাস্থলে অকার্যকর এবং ১৫টি মৎস্য বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ৪ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবারও ইলিশ ধরতে নামবেন জেলার অর্ধলক্ষাধিক জেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৪
এসআরএস