ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশুলিয়ায় উদ্যোক্তার কারখানা ভাঙচুর, ২ কোটি টাকার ক্ষতি

অতিথি করেসপন্ডেন্ট, সাভার (ঢাকা) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৪
আশুলিয়ায় উদ্যোক্তার কারখানা ভাঙচুর, ২ কোটি টাকার ক্ষতি

সাভার: আশুলিয়ায় প্রস্তাবিত ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরি, সিমেন্টের ইট তৈরির কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

একটি চক্র ঘটনাটি ঘটিয়েছে উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক। তিনি জানান, প্রস্তাবিত আশুলিয়ায় ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরি, কুটির শিল্প (ঝাড়ু তৈরির কারখানা) ও ইট তৈরির কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগে জসীমউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রোববার রাতে এ অভিযোগ দেন তিনি।

অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার মির্জানগরের ঢাকা কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির আব্দুল করিম মৃধার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (৫০), কুরগাঁও নতুনপাড়া এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে আব্দুল জব্বার (৫০), চারিগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৮), আব্দুল জলিলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), আবু সাঈদের ছেলে আবু তালেব মুক্ত (৪৫) ও ডেন্ডাবর ফাল্গুনী হাউজিংয়ের আলী আকবরসহ (৪৮) অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জন।

ভুক্তভোগী জসীমউদ্দিন বলেছেন, আশুলিয়ার উত্তর রামচন্দ্রপুর মৌজার সিএস ও এসএ-১৮, আরএস-৪৮, বিআরএস খতিয়ান নং- ১৬৩, ১৬৪ জমির পরিমাণ ৩৪৫ শতাংশ আমি ক্রয় ও হেবা সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছি। এই জমিটিতে আমি একটি পাকা বিল্ডিং, একটি সেমি পাকা বিল্ডিং, ২০টি কক্ষ ও দোকান নির্মাণ করে এবং প্রস্তাবিত ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরি, কুটির শিল্প (ঝাড়ু তৈরির কারখানা), সিমেন্টের ইট তৈরির কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত আমার এসব সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের পায়তারাসহ বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিল অভিযুক্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি ভেকু ও একটি ইট ভাঙার মেশিন নিয়ে আমার সম্পত্তিতে অবৈধভাবে অনধিকার প্রবেশ করে। পরে ভাড়াটিয়াদের হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়ি-ঘর, দোকানপাট ও কারখানা ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া নির্মাণ কাজের জন্য আনা নির্মাণ সামগ্রী ও ইট তৈরির মালামাল ভেকু মেশিন দিয়ে ভাঙচুর করে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র ট্রাকে করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে আমি ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তারা ভাঙচুর করে আমার অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতিসাধণ করে। অভিযুক্তরা এখনও আমার সম্পত্তিতে ভাঙচুরের তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি আমলে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।