ঢাকা: রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ঝিলপাড় জামে মসজিদ এলাকায় সোহেল মিয়া (৩৮) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি মো. নাসিরুজ্জামান রুবেলকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ঘটনার দিন সোহেল একটি অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে গাড়ি মেরামতের কাজ করাতে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) র্যাব-৩ মিডিয়া অফিসার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে র্যাব-৩ ও র্যাব-১১ দলের সদস্যরা সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
শামীম হোসেন বলেন, সবুজবাগ থানার ঝিলপাড় জামে মসজিদ সংলগ্ন এসএসও অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপে প্রাইভেটকার মেরামত করাতে গিয়েছিলেন সোহেল মিয়া। এ সময় তাকে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ যাত্রাবাড়ী থানাধীন হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে ফেলে যায় কে বা কারা। এ ঘটনার মোটিভ প্রথমে ক্লু-লেস ছিল। পরে আমরা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে এ ঘটনায় রুবেল জড়িত বলে জানতে পারি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকেই প্রধান আসামি করা হয়েছিল।
রুবেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে সোহেল মিয়া নিজের প্রাইভেটকার এসএসও অটো মোবাইলস ওয়ার্কশপে নিয়ে যান মেরামতের জন্য। ওয়ার্কশপটির স্বত্বাধিকারী মো. নাসিরুজ্জামান রুবেল। তিনি নাকি সোহেলের কাছে ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। সোহেলের কাছে পাওয়া টাকা চাওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোহেলের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন রুবেল। তৎক্ষণাৎ সোহেলের মৃত্যু হয়।
শামীম আরও বলেন, সোহেলের মরদেহ গুম করতে রুবেল সেটি হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে ফেলে পালিয়ে যান। গত ১ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ সোহেলের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর আসামি বার বার স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করছিলেন। রুবেল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
এমএমআই/এমজে