ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছাড়লেন জবি শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছাড়লেন জবি শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ফিরে গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সোয়া ৫টার দিকে সচিবালের সামনের সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলামের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। পরে বিকাল ৫টায় তারা সচিবালয় থেকে বের হন।

এ সময় সচিবালয়ের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযের অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের যে যৌক্তিক দাবি তা যেনো খুব দ্রুত সময়ে সমাধান করা যায়, সেই প্রক্রিয়া নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করি, যেখানে যে সমস্যা আছে, সেই সমস্যাগুলো আগামীকালের বৈঠকে দূর হবে। এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের যে পাঁচ দফা সেই পাঁচ দফার সফল বাস্তবায়ন আগামীকাল থেকে শুরু হবে। সেই ধরনের একটি আশ্বাস আমরা মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা ও এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধান করতে চাই। আগামীকাল এই বিষয়ে বৈঠক হবে। সেখান থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নিয়ে যাবো। যাতে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মানের বিষয়টি দ্রুত সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কে এম রাকিব বলেন, আমাদের দাবি মেনে নিতে আমরা তিন কর্মদিবসের কথা তাদের বলেছিলাম। তারা তিন দিনের পরিবর্তে আগামীকালই আমাদের ভিসি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের চলমান কাজ কিভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা যায় সেটি তারা কালকেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি আরো বলেন, যদি কালকে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর না করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।

বৈঠকে শিক্ষা সচিব দুর্ব্যবহার করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এরপর তারা মিছিল নিয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে চলে যান।

এর আগে সকালে পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে ঢোকে। তবে, শিক্ষা সচিব দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করে হাজারো শিক্ষার্থী।

পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সেখানে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দেন। পরে বিকাল ৪টার দিকে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।

জবি শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনা ও সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তার হাতে এ দায়িত্ব অর্পন; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।