ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১০ সপ্তাহ পর ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেলেন চা শ্রমিকরা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
১০ সপ্তাহ পর ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেলেন চা শ্রমিকরা

মৌলভীবাজার: অবশেষে প্রশাসনের উদ্যোগে ১০ সপ্তাহ পর ১০ কেজি করে চা বরাদ্দ পেলেন চা শ্রমিকরা। মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলায় ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের ৮টি চা বাগানে প্রায় ১০ সপ্তাহের বকেয়া মজুরির দাবিতে কাজে যোগ না দিয়ে সব কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন চা শ্রমিকরা।

কাজ ও মজুরি বন্ধ থাকায় চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তাদের মানবেতর জীবনযাপনের কারষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের বিশেষ বরাদ্দকৃত জিআর এর ৬৬ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন চাল বণ্টন করার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন কার্যালয়। ৩টি ফাঁড়ি বাগানসহ ন্যাশনাল টি কোম্পানির ৮টি চা বাগানের ৬ হাজার ৬৩২ জন চা শ্রমিকদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।  

রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাধবপুর, মদনমোহনপুর ও পাত্রখোলা চা বাগানে উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল, মাধবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, পাত্রখোলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক স্বপন কুমার সিংহ, মদনমোহনপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক হুমায়ুন আহমদ, মাধবপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গির আলম, মাধবপুর ইউপি সদস্য মোতাহের আলী, শিব নারায়ণ শীল, মকবুল আলী, নারায়ণ রাজভর, বীনা রানী ও মনু-ধলাই ভ্যালি সভাপতি ধনা বাউরী প্রমুখ।

পাত্রখোলা চা বাগান এর স্থায়ী ১৮৬৮ ও অস্থায়ী ২০০ জন, মাধবপুর চা বাগান ও এর ফাঁড়ি পদ্মছড়া চা বাগানের স্থায়ী ১১৭৪ ও অস্থায়ী ১০০ জন, মদনমোহনপুর চা বাগানের স্থায়ী ৪৭০ ও অস্থায়ী ১০০ জন, কুরমা ও এর ফাঁড়ি বাঘাছড়া চা বাগানের স্থায়ী ১৪১১ ও অস্থায়ী ১০০ জন, এবং চাম্পারায় চা বাগানের স্থায়ী ১১০৯ ও অস্থায়ী ১০০ জন নারী-পুরুষ চা শ্রমিকদের মধ্যে এ চাল বিতরণ করা হয়।

এদিকে ভরা মৌসুমে এসে চা শ্রমিকরা চা পাতা চয়ন না করায় চা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ফাঁড়িসহ ১৬টি চা বাগান মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভরা মৌসুমে  চা বাগানগুলো বন্ধের কারণে কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়ছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি। এটা এখন কোম্পানির জন্য মরার ওপর খরার ঘাঁ এর মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার যদি দ্রুত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে চা শিল্প ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চা বাগানের কর্তৃপক্ষের অনেকেই জানিয়েছেন। বাগান বন্ধ থাকার পরও শ্রমিকদের সপ্তাহিক রেশন দিচ্ছে কোম্পানি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, কাজ বন্ধ থাকায় চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের মানবেতর জীবনযাপনের কারণে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বিশেষ বরাদ্দ জিআর ৬৬ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ ও বণ্টন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
বিবিবি/আরবি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।