ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের মুসা মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০ নভেম্বর বুধবার ছিল উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল। একে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাবেক এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক ডিআইজি আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকদের উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুর ১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে পল্লী বিদ্যুতের মোড় থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদারের নেতৃত্বে কাউন্সিল বিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে রামদা, লাঠি সোঁটা নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। পরে মিছিলটি উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সদরের মুসা মার্কেট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় বিএনপির অপর গ্রুপ কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকেরা মিছিলটি লক্ষ্য করে প্রথমে বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় দাঙ্গাবাজরা ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার পাশাপাশি ৩০টি দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর পুরো উপজেলা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে উপজেলা সদরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, আগামী ২০ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
আরএ