সিলেট: আদালতে তোলার সময় জনরোষের শিকার হয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েক। পুলিশি প্রহরা থাকলেও সেটি উপেক্ষা সাধারণ জনগণ লায়েককে লাথি-কিল-ঘুষি দেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের আদালত পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. ইবায়দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামি সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েককে আদালতে তোলা হয় আজ। এসব মামলার পাঁচটির তদন্ত কর্মকর্তা আমি। লায়েকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে, সেটি তদন্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। লায়েককে গ্রেপ্তারের পর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে তাকে রিমান্ডে চাওয়া হয়নি। তাকে আদালতে তোলার জন্য নিয়ে এলে তিনি জনরোষে পড়েন। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় বিক্ষুব্ধরা তাকে পেছন থেকে অতর্কিতভাবে হেনস্তা করেন।
গতকাল শনিবার রাজধানী থেকে লায়েককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সড়ক পথে সিলেটে আনা হয়। দীর্ঘ যাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর কোতোয়ালি মডেল থানায় নেওয়া হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সিসিকের আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে যান। লায়েকও একই পথ ধরেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এনইউ/এমজে