ঢাকা: পথচারীদের জন্য তৈরি হলেও রাজধানীর ফুটপাতগুলোতে হেঁটে চলাই মুশকিল। পথচারীদের জন্য নির্ধারিত এই পথে হকাররা জুতা, কাপড়, ফলসহ নানা ধরনের দোকান দিয়ে বসেছেন।
এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং শহরের সৌন্দর্য ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কোথাও এসব দোকানে ফুটপাত অর্ধেক দখলে আবার কোথাও গোটা ফুটপাতই দখল করে চলছে এসব ব্যবসা। বোঝাই যায় না যে, এখানে ফুটপাত রয়েছে।
ঢাকা শহরজুড়েই এমন চিত্র। হকার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশনের, এমনটাই জানালেন এক নগর পরিকল্পনাবিদ।
রাজধানীতে ফুটপাত দখল সব থেকে বেশি দেখা যায় গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিলসহ এর আশেপাশের এলাকায়। শহরের সৌন্দর্য তো পরের কথা, সাধারণ মানুষের পক্ষে এসব এলাকার ফুটপাতে নির্বিঘ্নে হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না। ফুটপাতজুড়ে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ হকাররা। কোথাও কোথাও ফুটপাত ছাড়িয়ে রাস্তায়ও চলে আসে এসব ভ্রাম্যমাণ হকারের দোকান।
অথচ এসব এলাকার আশপাশেই রয়েছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি নানা দপ্তর। এমনকি রয়েছে রাষ্ট্রীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনও।
যদিও মানবিক দিক বিবেচনায় জীবিকার তাগিদে ফুটপাতে ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছেন এসব হকার। তবে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিত বাড়তে থাকা এই হকারদের দৌরাত্ম্যে ফুটপাত ও সড়কগুলো দখল হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষেরা।
সরেজমিনে গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিলসহ এর আশপাশের এলাকার চিত্রে দেখা যায়, পল্টন থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত রাস্তা ও গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে বায়তুল মোকাররম এবং কাপ্তান বাজার পর্যন্ত দুই প্রান্তের ফুটপাত পুরোটা হকারদের দখলে। এমনকি রাস্তার এক তৃতীয়াংশ দখল করে হকাররা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে।
গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত রাস্তাটি একমুখী যানচলাচলের জন্য ব্যবহার হয়। তবে রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশই ভ্রাম্যমাণ হকারদের দখলে।
সরেজমিনে গোলাপশাহ মাঝারে আশপাশে ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতে বসানো দোকান পুলিশ উঠিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর আবারও দোকান বসানোর জন্য ফিরে আসেন হকাররা। পুলিশের সঙ্গে হকারদের উচ্ছেদ নিয়ে এমন চোর-পুলিশ খেলা চলতেই থাকে।
যদিও ফুটপাত দখলমুক্ত করা ও হকারদের উঠিয়ে অন্য কোথাও পুনর্বাসন করা বা একটি নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে আনতে প্রশাসন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ যাবৎকালে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে কোনটিই কাজে আসেনি। যতবারই হকারদের উচ্ছেদ করা হয় ততবারই তারা আবারও একই জায়গায় ফিরে আসেন।
এসব নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের। এখানে পুলিশ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে। এদিকে রাস্তা ও ফুটপাত হচ্ছে সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি। তাই এর দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তাদেরও।
কিন্তু দখলমুক্ত করতে না পারার কারণ হিসেবে সিটি করপোরেশন এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এক প্রকার দায়িত্ব এড়ানোর একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে।
ট্রাফিকের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি- অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আনোয়ার সাঈদ বলেন, হকার উচ্ছেদের জন্য প্রতিদিন আমাদের ফোর্স আসে। প্রতিদিন আমরা ৩-৪ বার হকার উচ্ছেদ করি। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা চেষ্টা করি, আইন প্রয়োগ করে হকার উচ্ছেদ করে এই জায়গাটা খালি রাখার। কখনো পারি, কখনো আবার পারি না।
প্রতিদিন হকার উচ্ছেদের পরও কেন যানজট নিরসন হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তা ও ফুটপাতের মালিকানা সিটি করপোরেশনের। আমাদের রাস্তায় ঝামেলা হয় দেখে আমরা হকার সরিয়ে দিই। কিন্তু আমাদের জনবল কম। পাঁচশো হকার সরাতে গেলে আমাদের ৫০ জন লোক লাগে। এই ৫০ জন পুলিশ সদস্যকে তো আমি ২৪ ঘণ্টা সেখানে দায়িত্ব দিয়ে রাখতে পারি না। আবার কতদিন সেখানে তাদের দায়িত্ব দিয়ে রাখব! এটা বাস্তবসম্মত নয়। সেজন্য আমরা আমাদের মতো প্রতিদিন চেষ্টা করি। একদিক দিয়ে পুলিশ গিয়ে হকার উচ্ছেদ করে, অন্যদিক দিয়ে তারা আবার বসে।
এদিকে সিটি করপোরেশনে বলছে, ফুটপাত দখলমুক্ত করা এককভাবে তাদের কাজ নয়, যেহেতু সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কোনো বাহিনী নেই। তাই এই দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। পুলিশ ভিআইপি মুভমেন্টের সময় রাস্তা ফাঁকা করতে পারলেও হকারদের উচ্ছেদ করতে পারে না।
সম্প্রতি গুলিস্তানে হকার উচ্ছেদ করে ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু উচ্ছেদের কিছুক্ষণ পরেই আবার হকাররা রাস্তা দখল করে ফেলে।
সাফায়েত উল্লাহ নামের এক হকার বলেন, ৪-৫ বছর ধরে এখানে জামা-কাপড় বিক্রি করি। এ দিয়েই সংসার চলে। কয়দিন পর পর পুলিশ এসে আমাদের উঠিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা কই যাব? তাই তারা চলে গেলে আমরা আবার এসে বসি।
ফুটপাত কেন দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না এবং এ বিষয়ে টেকসই কোনো সমাধান আছে কিনা এ বিষয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (উপসচিব) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, রাস্তা ও ফুটপাত দুটোই সিটি করপোরেশনের। তবে ফুটপাত দখলমুক্ত করা এককভাবে সিটি করপোরেশনের কাজ না। এখানে নিয়ম ভঙ্গ করে যারা ফুটপাতে দাঁড়াবে তাদের সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের। কেউ যদি বিনা অনুমতিতে কোনো কিছু দখল করে। অথবা এই কারণে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই বিষয়ে আইনি এখতিয়ার কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানায় দেওয়া আছে। আর এখানেই পুলিশ ব্যর্থ হচ্ছে।
ভিআইপি মুভমেন্ট হলে পুলিশ ঠিকই রাস্তা ফাঁকা করতে পারেন; তবে হকারদের বিষয়ে কেন পারছে না? প্রশ্ন রাখেন সিটি করপোরেশনের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, যেহেতু পুলিশের লোকবল আছে এবং তাদের টহল টিম প্রতিনিয়ত ঘোরাঘুরি করে সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে তাদের করার অনেক কিছু আছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান এই সম্পত্তি কর্মকর্তা বলেন, সিটি করপোরেশনের কিন্তু নিজস্ব বাহিনী নেই, যেটা পুলিশের আছে। রাস্তা ও ফুটপাত যেহেতু আমাদের তাই কেউ এসব দখল করলে আমরা কিন্তু উচ্ছেদ করে দিই। কিন্তু দেখা যায় সকালে উচ্ছেদ করলে দুপুরে হকাররা আবার বসে। এছাড়া বড় আকারেও যদি উচ্ছেদ করা হয় তাহলে কয়েকদিন তারা বসে না। কিন্তু পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে তারা আবারও চলে আসে।
এত বছরেও কেন হকারদের কাছ থেকে ফুটপাত দখল মুক্ত করা যাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ফুটপাত থেকে হকার মুক্ত করার জন্য বহু উদ্যোগই কিন্তু ছিল। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যায় কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। এই হকারদের অধিকাংশই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোক। আবার তারা কিন্তু একটা চক্রকে প্রতিনিয়ত মাসোহারা দিয়ে কোনো না কোনো উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এই চক্রের ইনকাম সোর্স হচ্ছেন এই হকাররা।
তিনি বলেন, আর প্রতিটা সমস্যার কিন্তু একটা রুট থাকে। আর এক্ষেত্রে যেসব চক্র হকারদের এসব জায়গায় বসাচ্ছে, তারা কিন্তু বড় একটা স্টেক হোল্ডার এই পুরো সিস্টেমের। হকারদের যতবারই উচ্ছেদ করা হয়, তখন এই স্টেক হোল্ডাররা কিন্তু নেগোসিয়েশন করে আবারও তাদের বসাচ্ছে। এই নেগোসিয়েশন কিন্তু হয় কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে। আবার কখনো হয় করপোরেশনের সাথে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনৈতিকভাবেও নেগোসিয়েশন করা হয়। এই পুরো সিস্টেমকে যদি না ভাঙা যায়, তাহলে প্রতিবার হকারদের সরিয়ে দিলে কোনো লাভ হবে না। তারা আবারও চলে আসবে।
হকারদের সংখ্যা এবং তাদের পরিচয় জানার জন্য একটি সঠিক তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন উল্লেখ করে এই নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, দেশে যত হকার আছে তাদের বিষয়ে কোনো বায়োমেট্রিক ইনভেনটরি কিন্তু তৈরি করা হয় না। যেমন গুলিস্তান এলাকায় এক লাখ হকার আছে, তারা কারা, তাদের বায়োমেট্রিক ইনডেক্স কি?
হকারদের পুনর্বাসনের জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করা জরুরি বলে মনে করছেন এই পরিকল্পনাবিদ। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে আমরা যদি ধরেও নিই এই এক লাখ হকারকে পুনর্বাসন করব। ভাগ করে সপ্তাহে তিনদিন ৫০ হাজার হকার এই রাস্তায় বসবে, পরের তিনদিন বাকিরা বসবে। এভাবেও পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, এর জন্যও কিন্তু আইডেন্টিফিকেশন লাগবে, যে এরা কারা। মোটকথা যেকোনো বিষয়ে শৃঙ্খলা আনতে কিন্তু সঠিক আইডেন্টিফিকেশন প্রয়োজন আছে। তা নাহলে এখানে কয়েকদিন পর যদি আরও কয়েক হাজার লোক এসে বলে আমরাও হকার তাহলে কীভাবে এর ব্যবস্থাপনা হবে!
হকারদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, হকারদের যদি পুনর্বাসন করতে হয়, তাহলে সারা বাংলাদেশ থেকে এসে যারা হকার হিসেবে বসবে প্রথমে তাদের আইডেন্টিফিকেশন করাতে হবে। আধুনিক সময়ে এই ধরনের বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন খুব জরুরি। এছাড়া কাদের জন্য পুনর্বাসন করা হচ্ছে, কেন করা হচ্ছে বা কতটুকু করতে হবে এসব বোঝা যাবে না। পাশাপাশি এও সত্য সরকারের কাছে যদি বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন না থাকে তাহলে তো সরকারের পক্ষে সারা দেশের মানুষের পুনর্বাসন করা সম্ভব না।
এছাড়া পুনর্বাসনের জন্য যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত যত ধরনের প্ল্যানিং দরকার সেগুলোকে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
হকারদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সরকারকে হকারদের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালা তৈরি মাধ্যমে এখানে একটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
সরকারকে হকারদের সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখাসহ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তি বা পুলিশের সদস্যরা হকারদের কাছ থেকে মাসোহারা নিত, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে বর্তমানে যারা আছে তারা যেন মাসোহারা নিতে সাহস না পায়, এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। বর্তমানে যেহেতু নতুন সরকার সেখানে আগে যে সকল রাজনৈতিক নেতারা এসব মাসোহারা নিত তাদের শনাক্ত করা কঠিন কিছু হবে না। একই সঙ্গে এই ধরনের মাসোহারা ভবিষ্যতে যেন না নেওয়া হয়, সে বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিত করার শক্তি যেন সরকারের থাকে।
হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়ে আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যারা এখান থেকে মাসোহারা নেয় তাদের আইডেন্টিফিকেশন করার মাধ্যমে একটা নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যেন আর এই মাসোহারা নিতে না পারে। বর্তমানে হকারদের থেকে মাসোহারা নেওয়ার বিষয়টি কোথাও চালু আছে আবার কোথাও বন্ধ আছে। এই অবৈধ ইনকাম বন্ধ করা গেলে হকারদেরও যেমন সুবিধা হবে, তারা করপোরেশনের জায়গা ব্যবহারের জন্য যেই ভাড়া দেবেন তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি এত বিশাল সংখ্যক হকারকে যদি না সরিয়ে পুনর্বাসন করা হয় তাহলে কয়েকটি বিষয় ভেবে দেখতে হবে। পুরোপুরি উচ্ছেদ না করে কোনো নির্দিষ্ট সময় করে দুই বা তিন শিফট করে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাদেরকে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আগে বলতে হবে, ‘তোমরা যেহেতু পুরোপুরি অবৈধ, তাই তোমাদেরকে না সরিয়ে আমরা শিফটিং ওয়াইজ বসার ব্যবস্থা করে দেব। অর্ধেক এই সময় হকারি করবে আর বাকি অর্ধেক দিনের এই সময় ব্যবসা করবে। ’ এভাবে করা যেতে পারে। পাশাপাশি হকাররা কোথায় কোথায় বসবে এ বিষয়ে অবশ্যই করপোরেশনের জোন ভাগ করে মার্কিং থাকতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের জন্যই যেহেতু রাষ্ট্র তাই কোনো বিষয়ে টেকসই সমাধানের জন্য সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের যে অধিকার সেটাকেও ব্যালেন্স করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
ইএসএস/এসএএইচ