ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কবি হেলাল হাফিজের অবদান জাতি সবসময় স্মরণ করবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
কবি হেলাল হাফিজের অবদান জাতি সবসময় স্মরণ করবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

ঢাকা: কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।  

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, কবি হেলাল হাফিজের অবদান জাতি সবসময় স্মরণ করবে।

কবির কবিতা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, কবি লিখেছিলেন, “কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা”। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি বলেই জুলাই চব্বিশে রচিত হয়েছে সাহসের কবিতা।  

তিনি আরও বলেন, মাত্র অল্প কিছু কবিতা দিয়েই হেলাল হাফিজ বাংলাভাষার উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ‍্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তার অবদান জাতি সবসময় স্মরণ করবে।  

যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থ দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মার যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।  

হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। কবিতাগুলো লেখা হয় ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে। তার কবিতায় লড়াই, সংগ্রাম, প্রেম-বিরহ, দ্রোহ দারুণভাবে ফুটে ওঠে। ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র মতো ‘অগ্ন্যুৎসব’ কবিতাও শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আগুন জ্বেলে দেয়।

২০১২ সালে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের কবিতার সঙ্গে আরও কিছু কবিতা যুক্ত করে প্রকাশ করা হয় হেলাল হাফিজের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। সবশেষ ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কবিতার বই ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।

১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। বেড়ে ওঠা সেখানেই। ১৯৬৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে সাংবাদিকতায় যোগ দেন।  

১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন । সর্বশেষ তিনি দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান হেলাল হাফিজ। এ ছাড়া যশোহর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার, নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ, কবি খালেদদাদ চৌধুরী সাহিত্য পদক সম্মাননাসহ আরও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
এমআইএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।