গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির পাশে শিহান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া মালামাল ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিহান কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক জামতলা এলাকার তানভির হোসেন নান্নু মিয়ার ছেলে তাজবির হোসেন শিহান (২৬)। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ময়মনসিংহের ধোবাউরা থানার হালিম উদ্দিনের ছেলে বাসচালক মো. সরওয়ার হোসেন শারু (২৮), কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার আলী আজগরের ছেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালক নাজিম উদ্দিন নয়ন (৩৫), একই জেলার উলিপুর থানার আজগর আলীর ছেলে অটোরিকশাচালক মো. ছাইফুল ইসলাম (৪২), লক্ষীপুর সদর থানা এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বাসের হেলপার মো. জুয়েল (২৪), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে বাসের স্টাফ মো. মিলন (২৭) ও ভোলার চরফ্যাশন থানা এলাকার মৃত সুলতান বয়াতীর ছেলে চা দোকানি মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকার উত্তরায় একটি কল সেন্টারে চাকরি করতেন শিহান। ১২ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে মাজার রোডের সামনে থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ৫ জন যুবক তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিম পাশে হানিফ স্পিনিং মিলের সামনে এসে তাকে ধরে ফেলে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর নিহতের পিতা তানভির হোসেন নান্নু মিয়া বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ) আমিনুল ইসলাম, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন, মৌচাক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
আরএস/এমজেএফ