ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রবাসীদের জন্য বিদেশের মিশনগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখে না: আনু মুহাম্মদ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
প্রবাসীদের জন্য বিদেশের মিশনগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখে না: আনু মুহাম্মদ 

ঢাকা:  প্রবাসীদের সুরক্ষায় বহির্বিশ্বে নিয়োজিত বাংলাদেশের মিশনগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখে না বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে ‘ইউরোপ ও উন্নত বিশ্বের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, অভিবাসন খাতের সংস্কার’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে সাপ্তাহিক ‘প্রবাসন’।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিকরা দেশেও যেমন মর্যাদা পান না, বিদেশেও তেমন মর্যাদা পান না। বিদেশি মিশনগুলো লোকবল কমের কারণ দেখায়। কিন্তু যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারাও প্রবাসীদের সঠিক সেবা দেন না। প্রবাসীদের সুরক্ষায় বহির্বিশ্বের মিশনগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখে না। ’

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার জন্য। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। সেজন্য বেশিরভাগ বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হন। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি সেল চালু করা প্রয়োজন। যেখানে সব তথ্য উল্লেখ করা থাকবে। কোন দেশে কী পরিমাণ কর্মীর চাহিদা রয়েছে তা দেখে যে রিক্রুটিং এজেন্সি আছে তারা কাজ করবে। এছাড়া প্রবাসগামী আগ্রহী কর্মীরা দেখতে পারবেন, কোথায় নিয়োগ দেওয়া হয় এবং কী পরিমাণ কর্মী প্রয়োজন। ’

আলোচনা সভায় অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি যে দেশে কর্মী গেছেন, সে দেশটা হলো যুক্তরাজ্য। তারপর আশির দশক থেকে ইতালি, গ্রিস ও স্পেনে লোক যাওয়া শুরু হয়। এগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যাওয়া লোকজনের এক ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এমনকি ৯০ দশকের দিকে যারা গিয়েছেন, তারা বেশিরভাগই টুরিস্ট ভিসা গিয়েছেন। কিন্তু ওই দেশের ইনক্লুসিভ রাজনীতির কারণে এই কর্মীরা ছাড় পেয়ে বৈধ হয়ে গিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, আমাদের এখান থেকে কর্মীদের যে দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সে প্রশিক্ষণের পরে যে সনদটি দেওয়া হয় সেটি আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃত নয়। এই স্বীকৃতিটি আন্তর্জাতিক মানের করার দায়িত্ব একমাত্র সরকারের। কেয়ার গিভিংয়ে দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। এর পাশাপাশি ভাষার দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে হবে এবং সেটি যদি সামগ্রিকভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় নিয়ে আসা যায়, তবে কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।

সাপ্তাহিক প্রবাসনের সম্পাদক খোকন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাবিডের সভাপতি আরিফুর রহমান, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ প্রবাসী ঐক্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রেমিত খন্দকার ও সাপ্তাহিক প্রবাসনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
এমএমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।