নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় শাহানুর শেখের শিশুকন্যা হামিদা (৬) হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ধারে পুলিশ আলামত হিসেবে চিরকুট ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।
আটকরা হলেন- শিশু হামিদার প্রতিবেশী রবিউল সিকদার (৩৭), তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩৪), মেয়ে সুমী খানম (১৪) এবং সুলতানা বেগম (৩৫)।
মামলার এজাহার ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক শাহানুরের সঙ্গে প্রতিবেশীদের পারিবারিক বিরোধ ও দ্বন্দ্ব ছিল। বিরোধের জেরে শাহানুরের বাড়িতে কয়েকবার অগ্নিসংযোগ এবং সন্তানদের খুন-জখমের হুমকি দেওয়া হয়। তিন সন্তানের মধ্যে একজনকে খুন করা হবে বলে চিরকুট লিখে শাহানুরের বাড়িতে ফেলা হয়। গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে শাহানুরের ছোট মেয়ে হামিদা বাড়ির বাইরে খেলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় রবিউল সিকদারের চাষাবাদ করা ধানী জমির পাশে কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় হামিদার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী তোতা সিকদার, তার স্ত্রী সুলতানা বেগম, ছেলে ফেরদৌস সিকদারসহ ৬ জনকে আসামি করে ১৫ নভেম্বর উপজেলার নড়াগাতি থানায় মামলা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ হামিদা হত্যাকাণ্ডের ক্লু বের করতে তৎপর হয়। শাহানুরের স্ত্রী হাওয়া বেগমের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ও হাতে লেখা কয়েকটি চিরকুট জব্দের পর পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত নারী আসামি সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের মেয়েকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশুর মা হাওয়া বেগম ও স্বজনরা জানান, খুনের হুমকি দিয়ে তাদের বাড়িতে ফেলা চিরকুটগুলো রবিউলের মেয়ে সুমী খানমের লেখা বলে আমাদের মনে হয়েছে। আমার শিশুকন্যা খুনের সঙ্গে সুমী ও তাদের পরিবারের লোকজন জড়িত থাকতে পারে। এ খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শরীফুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। এ মামলায় একজন এজাহারভুক্ত নারী আসামিকে গ্রেপ্তার ও সন্দেহভাজন রবিউল তার স্ত্রী এবং মেয়েকে আটক করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত খুনের রহস্য উন্মোচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
আরএ