ঢাকা: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কর্মসূচি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অন্তর্বর্তী সরকার এ ‘ঘোষণাপত্র’ তৈরির উদ্যোগ নিলেও মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণাপত্রের সমর্থনে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি বহাল রেখেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তারা ‘ঘোষণাপত্রের’ সমর্থনে ছাত্র-জনতাকে রাজপথে নেমে আসার এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে ভোর থেকে সেখানে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা।
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
সোমবার রাতে বাংলামোটরে জরুরি বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, মঙ্গলবার শহীদ মিনারের ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রটি কেমন হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মতো ‘অপ্রাসঙ্গিক’ এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানের ‘কবর রচনা’ করা হবে।
এর আগে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের দালিলিক ভিত্তি, বৈধতা ও নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। ঘোষণাপত্রটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে ‘ঘোষণাপত্রে’ কী থাকে তা দেখার অপেক্ষায় জনগণ। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করবে সরকার।
বিকেলে শহীদ মিনারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে ধারণা দেওয়া হবে কী থাকবে ঘোষণাপত্রে এবং কেমন হবে এটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
এমইউএম/আরবি