সাতক্ষীরা: বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে নিজেদের জমি চাষে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আগামী ২০ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ যৌথসার্ভে করার পর বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়।
পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার রমেশ কুমার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষীদাড়ি গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি লিজ নিয়েছি। সেই জমিতে শনিবার সকালে বোরো ধান রোপণ করতে যাই। এসময় বিএসএফ ও স্থানীয়রা আমাকে ধান রোপণ করতে বাঁধা দেন। ওই জমি ভারতীয় অংশের বলে আস্ফালনও করেন তারা। একপর্যায়ে ধানের চারা রোপণ বন্ধ করে চলে আসি আমি।
একই গ্রামের শাহীন গাজী বলেন, আমার বাবা নজরুল গাজী বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় এক বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার বিকেলে দুজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেন। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করেন। বিষয়টি ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
পতাকা বৈঠকের পর ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে। আর আপত্তিকৃত জায়গার ব্যাপারে আগামী ২০ জানুয়ারি যৌথসার্ভের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
এসআই