ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নাটোর সদর থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ‘ঘুষ’ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
নাটোর সদর থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ‘ঘুষ’ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণ (ভিডিও ভাইরাল)

নাটোর: নাটোর সদর থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে মো. আমিনুল ইসলাম নামে এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি সরাসরি ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্রই আলোচনার ঝড় ওঠে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।  

এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। প্রকাশ্যে এভাবে ঘুষ গ্রহণকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তারা। ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি অনেকের।  

এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন। তাও ভিডিওতে দেখা যায়।

ভিডিওটি ধারণকারী মামুন হোসেন নামে অপর এক ভুক্তভোগী জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় যান। এ সময় সদর থানার ভেতরেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। এসময় তিনি ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে

সেসময় অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরে আবেদনকারী মোবারককে বার বার ফোন করে ঘুষ দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, যারাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তাদের কাছ থেকে কৌশলে সদর থানা পুলিশের অনেক কর্মকর্তা টাকা আদায় করে থাকেন। এই সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেন তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না। তবে এ ব্যাপারে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি মোবাইল কলও রিসিভ করেননি।

নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুর রহমান জানান, ভিডিওটি তাদের নজরে এসেছে। এটি পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গেও তার কথা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।