ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ফটো

ঢাকা: রেলের কর্মীদের ওভারটাইমের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে।

আমার এখানে যদি আসে যৌক্তিক কিছু থাকলে, অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।  

তিনি বলেন, মানবিক কারণে বা মানুষের চাকরি ব্যাপারে সমস্যা হলে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলওয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, রেলের বরাদ্দের জন্য আপনার মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখন আপনি যেটা করবেন সেটাই। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রেলের কর্মচারীদের কিছু দাবি ছিল, আমরা বেশ কয়েকদিন আগেই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছি। তারপরও তারা কেন এটা করেছে সেটা তাদের ব্যাপার।

তিনি বলেন, প্রত্যেকের একাধিক দাবি থাকে। তারা বলেছে ওভারটাইম এলাও করতে হবে। আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা করেছি। যেভাবে দেওয়ার আমরা দিয়েছি। আমার মনে হয় মোটামুটি যেটা যৌক্তিক ছিল সে সুবিধা আমরা দিয়েছি।

উপদেষ্টা বলেন, এখন অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। আমার এখানে যদি আসে যৌক্তিক কিছু থাকলে, অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না। মানবিক কারণে বা মানুষের চাকরি ব্যাপারে সমস্যা হলে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগে কত বরাদ্দ দিয়েছেন, নতুন করে কত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন যেগুলো করেছে, অন্য লোকদের একই দাবি আছে। অতএব রেলের জন্য আলাদা করে আমি বলব যে, তোমাদের জন্য আমি দেখলাম..। ওরা যেটা বলেছে ওভারটাইমের ইস্যু এসেছিল, সেটা আমরা সমাধান করেছি। এখন যদি বলে পেনশন গ্র্যাচুইটি যোগ করতে হবে। তো অন্যান্য সংস্থার তো আরও অনেক দাবি আছে।

এখন যেসব দাবি-দাওয়া নিয়ে রেল বন্ধ করে দিয়েছে, এটির কি হবে সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা রেলওয়ে উপদেষ্টা বলবেন।

বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৈঠকে চাল, চিনি, মসুর ডাল, সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জিনিসগুলো যাতে রোজার আগে বা রোজা চলাকালীন, এমনকি রোজার শেষেও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।

তিনি বলেন, এখানে বাজারের সাপ্লায়ের অন্য বিষয় আছে। আমরা আনার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেখানে মার্কেট মনিটরিংয়ের ব্যাপার আছে। শুধু আনলেই হবে না। সময় মতো ঠিকভাবে যায় কিনা দেখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।