ঢাকা: ক্যাডার কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতিতে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) বাতিল করে মন্ত্রিসভা কমিটির মাধ্যমে সচিব নিয়োগের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা কমিটি অতিরিক্ত সচিবদের মধ্য থেকে বাছাই করে সচিব ও সচিবদের মধ্য থেকে মুখ্য সচিব পদে পদোন্নতির প্রস্তাব সরকার প্রধানের কাছে পেশ করবে।
‘অতিরিক্ত সচিবদের মধ্য থেকে সচিব নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনাময় কর্মকর্তাদের জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো তারা যোগ্য হতে পারে। ’
মুখ্য সচিব পদে পদায়ন নিয়ে প্রতিবেদন বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়গুলোকে পুনর্বিন্যস্ত করা হলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একাধিক বিভাগ সৃষ্টি হবে। তাদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য সেসব মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন সচিবকে মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। বর্তমান সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে এ পদে পদায়ন করা যেতে পারে।
সিনিয়র সচিব নামকরণ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও সচিব পদে কোনো বেতন গ্রেড বা স্কেল থাকবে না। সরকার তাদের বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ করবেন।
প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী যদি কোনো পদে পদোন্নতির সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছে যান ও এরপরে আর ইনক্রিমেন্ট না পেয়ে থাকেন এবং তিনি যদি বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ডে দণ্ডিত না হয়ে থাকেন, তবে তাকে দুবছর পর, বেতন স্কেল দেওয়ার সুপারিশ করা হলো।
কমিশন বলেছে, সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসের বাইরে ৫ শতাংশ পদে সরকার বিশেষ কোনো যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক যুগ্ম সচিব বা সংস্থা প্রধান পদে নিয়োগ দিতে পারে। তবে এরূপ ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আওতায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরখাস্ত আহ্বানের পরে মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিয়োগ হতে হবে। এছাড়া তাদের দায়িত্ব দেওয়ার আগে কমপক্ষে তিন মাস ওরিয়েন্টেশন কোর্স সমাপ্ত করার বিধান করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
এমআইএইচ/এসআরএস