ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় শেখ মুজিবের ম্যুরাল-আ.লীগ অফিস গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৩৯ এএম, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
চুয়াডাঙ্গায় শেখ মুজিবের ম্যুরাল-আ.লীগ অফিস গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা ভেঙে ফেলা হচ্ছে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও স্থাপনা

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল, বিভিন্ন স্থাপনা ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।  

এ সময় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ম্যুরালের স্থাপনা।

পার্টি অফিসের ভবনের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালানো হয়। মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন।

এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে শহরের সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সেখান থেকে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে যান তারা। ডিসি অফিস চত্বরে স্থাপিত শেখ মুজিব ও ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের প্রতিকৃতি এবং ম্যুরালের স্থাপনায় ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা।  

গত ৫ আগস্ট এসব ম্যুরাল থেকে ছবি মুছে দেওয়া হয়। এবার অবশিষ্ট স্থাপনা হাতুড়ি, কুড়াল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ভাঙচুর করেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পুরো স্থাপনা।

এরপর তারা শহরের পৌরসভার মোড়ের জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখানেও শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  

এছাড়া ভবনের ভেতরে ঢুকে শেখ হাসিনার ছবিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের ছবি ভাঙচুর করা হয়। পরে তারা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর ও জেলা পরিষদ চত্বরে যান। সেখানেও শেখ মুজিবের ম্যুরালে ভাঙচুর চালানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা গেছে।

ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের মুজিব ম্যুরালের কবর রচনা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা দেশব্যাপী যে ফ্যাসিবাদী চিহ্ন রেখে গেছেন, আমরা তা নিশ্চিহ্ন করতে আজ এখানে একত্র হয়েছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদেই ছাত্র-জনতা এ কর্মসূচি পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
আরএ

বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৯ এএম, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫ /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।