যশোর: যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত রায়পুরে এক নারীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন (৫২) গণপিটুনির শিকার হয়েছেন।
ঘটনাটি দু’দিন আগে ঘটলেও ওই নেতা গোপনে চিকিৎসা নিয়ে এখন অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করছেন।
এলাকাবাসী জানান, রায়পুর বাজারে বিল্লাল হোসেনের ‘আফরোজা ফার্মেসি’ নামে একটি ওষুধের দোকান আছে। সেখানে ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর পাশের নলডাঙ্গা গ্রামের এক তরুণী গৃহবধূ এসেছিলেন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য।
অভিযোগ, সেসময় বিল্লাল হোসেন অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় ওই তরুণী মোবাইল ফোনে তার স্বজনদের খবর দেন।
খবর পেয়ে তার স্বজন ও নলডাঙ্গা গ্রামের লোকজন এসে বিল্লালকে বেধড়ক পিটুনি দেন। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে একদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বিল্লাল অজ্ঞাত স্থানে চলে যান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন কারাগারে ছিলেন। জামিনে কারামুক্ত হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় তিনি এ ঘটনা ঘটালেন। এখন বিল্লাল কোথায় অবস্থান করছেন তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
যোগাযোগ করা হলে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, আমি গতকাল বিকেলে এই থানায় যোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
গোয়েন্দা সংস্থার বাঘারপাড়ায় কর্মরত ফিল্ড অফিসার জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। বিল্লাল নিজ বাড়ির কাছাকাছি অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে তার ধারণা।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার জানান, বিল্লালের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
আরএ