ঢাকা: ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর এবার দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাউথ ব্লকে তলব করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা সেখান থেকেই বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন, যেখানে অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে উসকানি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করে আসছে ঢাকা।
রণধীর জয়সওয়াল জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যগুলো তার ব্যক্তিগত ক্ষমতায় করা হয়েছে, যাতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। এটিকে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচকতা যোগ করতে সাহায্য করবে না। যদিও ভারত সরকার পারস্পরিক কল্যাণকর সম্পর্কের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে। আমরা আশা করি যে, বাংলাদেশ পরিবেশকে খারাপ না করে একইভাবে প্রতিদান দেবে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ষষ্ঠ মাস পূর্ণ হওয়ার দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানে অডিও বক্তব্য দেন। এ নিয়ে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। দিল্লিতে আশ্রিত হাসিনাকে বক্তব্য-বিবৃতি থেকে বিরত রাখতে ভারতের ওপর চাপ তৈরির আহ্বান জানান অভ্যুত্থানকারীরা।
পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। পরে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, আমরা ভারতের কাছে আগেও আহ্বান জানিয়েছিলাম, তিনি (শেখ হাসিনা) যেন সেখান থেকে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। তিনি গতকাল আবার বক্তব্য দিয়েছেন। এজন্য ভারতের কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানান, ভারত জানিয়েছে শেখ হাসিনা বিদেশি প্লাটফর্ম (যুক্তরাষ্ট্রের) ব্যবহার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারতের কোনো প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৫
টিআর/এইচএ/