ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

স্থগিত কমিটি বহালের দাবিতে সড়ক  অবরোধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
স্থগিত কমিটি বহালের দাবিতে সড়ক  অবরোধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সিরাজগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত হওয়া সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি পুনর্বহালের দাবিতে শহরের সব রুট অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।  

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন এলাকায় নিউ ঢাকা রোড, এস এস রোড, পৌরসভা রোড, এম এ মতিন সড়কসহ সব রুট বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বিভিন্ন রাস্তায় বেঞ্চ ফেলে বসে পড়ে বিক্ষোভ করেন।  

শিক্ষার্থীরা “আমার সোনার বাংলায় চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই” চাঁদাবাজদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, চাঁদাবাজদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না” বহাল বহাল বহাল চাই, আগের কমিটি বহাল চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। রাত ১১টার পর তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে ফিরে যায়।  

এ সময় শিক্ষার্থীরা স্থগিত কমিটি পুনর্বহালে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, তা না হলে বিকেল থেকে সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।  

বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলার স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সজিব সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আসির ইন্তেসার অয়ন, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক যুবায়ের-আল ইসলাম সেজান, মুখপাত্র টি এম মুশফিক সাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা রাত ১১টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে চলে গেছে।  

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক জরুরি নোটিশে কমিটি স্থগিত করা হয়। কমিটি স্থগিতের পর পর রাত ৯টার দিকে শহরে আনন্দ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা।  

প্রসঙ্গত, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর করা পত্রে ২৮৪ সদস্য বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়।  

কমিটি অনুমোনের পরদিন রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) একযোগে ৫০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করে। তারা এটিকে পকেট কমিটি উল্লেখ করে বিলুপ্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে। সর্বশেষ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলসড়কে দুটি ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত সোয়া ৮টার দিকে কমিটি স্থগিত করা হলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
infostation welcome Banner
img img img
img
img img
img img
img img img img img img
img