ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রাঙামাটিতে আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা, ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল

ডেস্ক প্রতিবেদন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
রাঙামাটিতে আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা, ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম। গত শুক্রবার রাতে নগরের দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামলায় আহত হন তিনি।

২০ বছর বয়সী এ তরুণের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কাশেম।   ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায়’ নিহত আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাঙামাটিতে। ফেনীতেও তার গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

রাতে রাঙামাটি জেলা শহরের কোট বিল্ডিং মাঠে কাশেমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরুপায় সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা রবিউল ইসলাম, ইমাম হোসেন ইমু, হাফেজ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

তারা বলেছেন, গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সুপরিকল্পতিভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালিয়েছে। কাশেম হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করছি। রাঙামাটিতে এখনো অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান ছাত্রনেতারা।

ফেনীতে কাশেমের গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত ১০টার দিকে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক শতাধিক ছাত্রজনতা এতে অংশ নেন। জানাজা শেষে ছাত্র-জনতা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার ও সংগঠন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি ট্রাংক রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ্ কায়সার রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী মুহাইমিন তাজিমসহ অন্যান্যরা। মিছিলে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ছাড়াও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

গত শুক্রবার রাতে নগরের দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামলা ও তাদের আটকে মারধরের যে ঘটনা ঘটে তাতে আবুল কাশেমসহ ১৭ জন আহত হন। পরে কাশেমসহ গুরুতর আহত ৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কাশেমের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
এসএইচডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।