ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরলেন জুলকারনাইন সায়ের, দুজনকে নিয়ে আলোচনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরলেন জুলকারনাইন সায়ের, দুজনকে নিয়ে আলোচনা

জুলাই অভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। জনরোষের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা।

অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল-মতের মানুষ এক হয়ে রাস্তায় নেমেছিল। তবে হাসিনার বিদায়ের পর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা তৈরি করেছেন।

এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারও আলোড়ন তৈরি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছেন প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে চার পর্বে তুলে ধরা ঘটনাপ্রবাহে উঠে এসেছে নয় দফা থেকে এক দফা, সমন্বয়কদের কৌশলগত কারণে আড়ালে থাকা, লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণাসহ নানা বিষয়।  

এর মধ্যে অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা অনেকের পাশাপাশি সমন্বয়ক সাদিক কায়েম (পরে যার পরিচয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বলে প্রকাশিত হয়েছে) এবং এক নারী সাংবাদিকের কার্যক্রমের বর্ণনা ফেসবুকে ঝড় তুলেছে।

ঘটনাপ্রবাহে থাকা বর্ণনা অনুযায়ী, হাসিনার গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে শেষ দিকে সমন্বয়কদের কৌশলগত কারণে নিজেদের আড়ালে রাখতে হয়েছিল। এইক্ষেত্রে কিছু মানুষ তাদের আশ্রয়ে অভাবনীয় ভূমিকা রেখেছেন।

তখন সালমান নামে পরিচিত সাদিক কায়েম জুলকারনাইন সায়ের ও তার সহযোগীর সঙ্গে পুরো যোগাযোগ রক্ষা করতেন। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

হাসিনার পতনের এক দফা দাবির ঘোষণার আগে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছিল।  সমন্বয়কারীদের কয়েকজন তাদের পরিবারের জন্য দূতাবাসে আশ্রয় নিশ্চিত না হলে আন্দোলন চালিয়ে যেতে সংশয়ে পড়ে যান। তবে, সেই মুহূর্তে সাদিক কায়েম আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনড় ছিলেন।

এই ঘটনাপ্রবাহে জুলকারনাইন সায়েরের সহযোগী সেই নারী সাংবাদিক আন্দোলনের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার নির্দেশনায় সাদিক কায়েম কাজ করতেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাও মূলত তিনিই করেছিলেন।  

তবে, আন্দোলনের জটিলতা ও সমন্বয়কারীদের দাবি-দাওয়া দেখে তিনি একাধিকবার সরে যেতে চাইলেও সাদিক কায়েম তাকে অনুরোধ করে আন্দোলনে থাকতে বলেন। সাদিক কায়েমের বক্তব্য ছিল, এখানে অনেক স্টেকহোল্ডার আছে। কাজ করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমি এই আন্দোলনের জন্য আমার জীবন দিতেও প্রস্তুত।

এক দফা ঘোষণার আগ মুহূর্তে মাঠের ক্ষেত্র প্রস্তুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভূমিকার কথাও এসেছে বর্ণনায়। সমন্বয়ক (বর্তমানে উপদেষ্টা) নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ফোনালাপে মির্জা ফখরুলের আশ্বাস পেয়েই ৬ আগস্টের পূর্বনির্ধারিত লং মার্চ ৫ আগস্ট এগিয়ে আনেন সমন্বয়করা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।