কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় একটি কবরস্থান থেকে দুটি মরদেহ চুরির ঘটনা ঘটছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতের কোন এক সময় চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থান থেকে মরদেহগুলো চুরি হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফজরের নামাজ শেষে কবর জিয়ারত করতে গেলে দাফনকৃত এক পরিবারের লোকজনের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দাফনকৃতদের স্বজন ও এলাকাবাসী কবরস্থানে ছুটে আসে। সরেজমিনে পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থানে দুটি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
কবর দুটি একই ইউনিয়নের নগর সাঁওতা বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তার বিশ্বাসের স্ত্রী শাহারা খাতুনের ও একই গ্রামের তপন বিশ্বাসের ছেলে রাতুল বিশ্বাসের। তবে কবরে মরদেহ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহ দুটি চুরি হয়েছে।
শাহারা খাতুনের বড় ছেলে মনজুরুল হক বলেন, আমার মা ২০২৩ সালের ২১ জুন বাধর্ক্যজনিত কারণে মারা যান। তাকে পাহাড়পুর-নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ৪০ দিন আগে আমার বাবাও মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পরিবারের লোকজন নিয়মিত কবর জিয়ারত করেন। আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ছোটভাই রইসুল হক কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখতে পায় কবরস্থান থেকে মরদেহ চুরি হয়েছে।
তিনি জানান, তাৎক্ষণিক আমরা এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই মা ও রাতুলের কবর খোঁড়া। কবরস্থান থেকে একটু দূরে ভুট্টা ক্ষেতে দুটো হাড় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ’ তার পাশেই একটি পলিথিনে টাওজার ও পানির বোতল ছিল।
রাতুলের মা সোনিয়া খাতুন বলেন, তার সন্তান প্রতিবন্ধী ছিল। দুই বছর আগে রাতুল মারা যায়। তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। সকালে লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পেরে কবরস্থানে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার ছেলের কবরে মরদেহ নেই।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। যাদের মরদেহ চুরি হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।