ঢাকা, বুধবার, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কে কাফনের কাপড় পরে-লবণ ছিটিয়ে চাষিদের বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
সড়কে কাফনের কাপড় পরে-লবণ ছিটিয়ে চাষিদের বিক্ষোভ

কক্সবাজার: প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে গায়ে কাফনের কাপড় পরে মহাসড়কে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জেলার চকরিয়ায় উপজেলার খুটাখালী এলাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মহাসড়কে অবস্থান করায় উভয়পাশে শতাধিক দূরপাল্লার গাড়ি আটকা পড়ে ঘণ্টাব্যাপী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

কর্মসূচিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহমান, অধ্যক্ষ এসএম মনজুর, কক্সবাজার লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ জামিল ইব্রাহিম, সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খোকন মিয়া বক্তব্য রাখেন।  

লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের দাবি, বাংলাদেশের একমাত্র দেশীয় লবণ উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম। তন্মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, ঈদগাঁও, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলায় এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। গত মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় দেশীয় উৎপাদিত লবণ দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।

চাষিরা জানান, এবছর মাঠ পর্যায়ে লবণের উৎপাদন ভালো থাকা সত্ত্বেও লবণের ন্যায্যা মূল্য পাচ্ছেন না তারা। মাঠ পর্যায়ে বর্তমানে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা। অথচ এক মণ লবণের উৎপাদন খরচ ৩০০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত।  

লবণ মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে দেশীয় লবণ শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণের নাম দিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে লবণ আমদানির এলসি অনুমোদন করার পাঁয়তারা করছে। যদি তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়, তবে দেশের একমাত্র স্বনির্ভর লবণ শিল্পের ধ্বংস নিশ্চিত বলেও মন্তব্য করেছেন চাষিরা।

সমাবেশে ব্যবসায়ী আবদুল গফুর, এম জাফর আহমদ, আনিসুর রহমান, ফরিদুল ইসলাম, মনছুর আলম, নাছির উদ্দীন, আবুল হাসেম, নুরুল আজিম সবুজ, আরফাত কামাল জিকু, লবণ চাষি সমিতির সদস্য নুরুল আজম, নজরুল ইসলাম, সিরাজুল মোস্তফা, জাফর আলম, হারুনর রশীদ, মৌলভী সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ, ফিরোজ বখত তোয়াহা, নাজিম উদ্দিন, শওকত আমিন, মৌলভী আবদুল্লাহ, হাবিবুল্লাহ মিজবাহসহ উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক লবণচাষি অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।