কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের জালে আটকে যায় এক নারীর মরদেহ। তার নাম আঞ্জুমান মায়া (২০)।
শনিবার (০১ মার্চ) দুপুরে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কালুয়া এলাকার পদ্মা নদী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত আঞ্জুমান মায়া কালুয়া গ্রামের আসিফ শেখের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী এলাকায়।
নিহতের স্বামী আসিফ শেখ বলেন, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আমার জন্মদিন ছিল। সন্ধ্যা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত জন্মদিন উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান উদযাপন করি। এরপর রাত ১০টার দিকে আমি ও আমার স্ত্রী ঘুমাতে যাই। পরে রাত ১২টার দিকে আমার ঘুম ভেঙে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে (স্ত্রীকে) পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, শনিবার (০১ মার্চ) শুনতে পাই আমাদের বাড়ির পাশে নদীতে জেলের জালে তার মরদেহ উঠেছে। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে আমি ধারণা করতে পারছি না।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে পদ্মায় নিয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, সংবাদ পেয়ে পদ্মা নদী থেকে আঞ্জুমান মায়া নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৫
এসএইচ