ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ মার্চ ২০২৫, ২৪ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

মাজার ভাঙচুরকারীদের শাস্তি না হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
মাজার ভাঙচুরকারীদের শাস্তি না হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি 

ঢাকা: মাজার ভাঙচুরকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি না হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ব সুফি সংস্থা।  

রবিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাজার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিশ্ব সুফি সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।

 

সভায় বক্তারা বলেন, পাবনা জেলার দোগাছী ইউনিয়নের কায়েমকোলা গ্রামের কাজী শাহাবুদ্দিন হাফেজিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাই ফারুকীর নেতৃত্বে গত তিন দিন ধরে ফেইসবুক মিডিয়ায় ধারাবাহিক মিটিং ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় জন সাধারণকে উসকে দিয়ে সাথে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও উগ্রবাদী মৌলবীদের নিয়ে গতকাল (২২ মার্চ) সকাল ১০ টায় সুফি সাধক দেলোয়ার হোসাইন আল জাহাঙ্গীরের প্রতিষ্ঠিত বাসভবন ও খানকা শরিফে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়।  

অথচ বারবার ধর্মান্ধ হুজুগি মৌলবাদী গোষ্ঠীর এই ষড়যন্ত্র ও হামলা থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে বারবার সাহায্যের জন্য ছুটে যাওয়ার পরও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা পায়নি। বরং ঐ এলাকার উগ্রবাদীদের পক্ষ নিয়ে ঐ এলাকার স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জোরপূর্বক ভিক্টিম সুফি সাধক দেলোয়ার হোসাইন আল জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে মুচলেকা লিখে রাখে এবং তারা তাকে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। গতকাল সকাল ১০ টায় ফেইসবুকে লাইভ বার্তা দিয়ে তার বাড়িতে আক্রমণ জন্য উগ্রবাদীরা রওনা হলে মিডিয়া সাংবাদিক ও সুফিবাদ সার্বজনীন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাসচিব আনিসুর রহমান জাফরী পাবনার সদর এলাকার পুলিশ ইনচার্জকে বারবার যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানালেও তিনি তাতে সাড়া দেন নি।  

এসময় বিশ্ব সুফি সংস্থা থেকে বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- মাজারে হামলাকারী অপরাধী চক্রকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে; সুফিস্থাপনা, মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; যেসব রাজনৈতিক দল উগ্রবাদীদের মদদ দিচ্ছে, তাদেরকে জনসমক্ষে চিহ্নিত করা হবে; এবং সুফি ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তর্জাতিক সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।  

সভায় নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করে বক্তারা বলেন, সরকার ও প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা রাজধানী ও জেলাসমূহে টানা অবস্থান ধর্মঘট দিব। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবো। দেশব্যাপী 'মাজার রক্ষা গণআন্দোলন' গড়ে তুলবো।

এসময় তারা হুঁশিয়ারি করে বলেন, মাজার ভাঙচুরকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো এবং উগ্রবাদীদের আশ্রয়দাতা ও প্রশাসনের গাফিলতির বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামবো এবং প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করে আমাদের নায্য দাবিসমূহ আদায় করব।

মাওলানা আনিসুর রহমানের পরিচালনায় এবং শাহসুফি মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম চিশতী নিজামীর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর শাহ্ নুরে হাসান দিপু নুরী আল সুরেশ্বরী, সুফি আফতাব জিলানী, সুফি নাসির উদ্দিন চিশতী, শাহ সুফি মোস্তাক আহমাদসহ আরও অনেকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।