ঢাকা: ঈদের ফাঁকা বাসা-বাড়িতে যাতে চুরি কিংবা ডাকাতি না হয়, সেজন্য র্যাব সজাগ দৃষ্টি রাখছেন বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান।
রোববার (৩০ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
র্যাব ডিজি বলেন, ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে মানুষজন কমে যায়। ফলে বাসা-বাড়ি ফাঁকা থাকে। তাই ফাঁকা বাসা-বাড়িতে চুরি কিংবা দস্যুতা যেন না ঘটে, সেজন্য আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
ঈদে র্যাব গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের শুরু থেকেই আমরা নিরাপত্তক মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
করেছি। রমজান মাসের শুরুতে মার্কেটগুলোতে বেচা-কেনা বাড়ে এবং অনেক টাকার লেনদেন হয়। এর ফলে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মতো অপরাধ বেড়ে যায়। তাই আমরা রমজান মাসের শুরু থেকে এই ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে আসছি। আপনারা দেখেছেন এখন ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মত অপরাধ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এসেছে। ঈদের আগে, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে এই তিন ধাপে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। ঈদ পূর্ববর্তী ধাপের প্রায় শেষ পর্যায়ে আমরা।
তিনি আরো বলেন, প্রথম থেকেই মার্কেটগুলোতে যেন চাঁদাবাজি না হয় এবং রাস্তায় যেন ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা কাজ করেছি। এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে ঘড়মুখো মানুষের যাত্রা যেন নির্বিঘ্নে হয় সেজন্য আমরা অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। হাইওয়েতে যেন ডাকাতি না হয় এবং দুর্ঘটনা যাতে কম হয় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঈদকে কেন্দ্র করে বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাট ও ট্রেন স্টেশনে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। সেসব স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী আমরা গোয়েন্দা নজরদারি, টহল ও সাদা পোশাকে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে থাকি।
একেএম শহিদুর রহমান আরো বলেন, ঈদের দিন সারা দেশে অনেক বড় বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লিদের সমাগম হবে। এই কেন্দ্রীয় ঈদগাসহ দেশের যে সকল স্থানে বড় বড় জামাত অনুষ্ঠান হবে সেটা বিভাগ পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যাতে মুসল্লিরা নিরাপত্তার সঙ্গে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, ঈদের দিন এবং ঈদের ছুটির দিন ঘুরতে পর্যটন কেন্দ্র এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। মানুষ যেন নিরাপদে বিনোদন করতে পারে সেজন্য আমরা সেসব স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। ঈদের সময় আমাদের দেশে নারী ও শিশুদের একটি বিশাল সংখ্যা বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে যাতায়াত করেন। সেসব বিষয়ে লক্ষ্য করেও আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে করে নারী ও শিশুদের কেউ ইভটিজিং কিংবা যৌন হয়রানি না করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ঈদের ছুটির পর ফিরতি যাত্রা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেখানেও আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া জাল টাকা, মলম পার্টি ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রতিরোধেও আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা আশাবাদী এবারের ঈদ আমরা নির্বিঘ্নে করতে পারব। আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় স্বস্তিদায়ক হয়েছে। রাস্তাঘাটে যানজট কম এবং বিভিন্ন টার্মিনালগুলোতেও তুলনামূলক যানজট কম। এছাড়া অপরাধের মাত্রাও অনেক কম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
এসসি/এসএএইচ