ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে প্রিয়জনের কাছে যেতে গ্রামের উদ্দেশে ছুটছেন নগরবাসী। পরিবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তাদের এ ছুটে চলা।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর গাবতলী বাস কাউন্টারগুলো ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
চাঁদ রাতে দোকানে বিক্রির চাপ ছিল, দোকান বন্ধ করতে করতে সকাল হয়ে গেছে। একটু বিশ্রাম নিয়ে রংপুরের পথে রওনা দিতে কাউন্টারে চলে এসেছি। ৩টায় গাড়ি ছাড়বে সড়কে যানজট নেই আশা করি নির্ধারিত সময়ে বাড়ি পৌঁছে যাব বলে জানান মিরপুরের কসমেটিক ব্যবসায়ী নূর এ আলম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই আমরা ঈদের দিন বাড়িতে যাই, ব্যবসার কারণে চাঁদ রাতে বাড়ি যাওয়া সম্ভব হয় না। অন্যান্য বছরের তুলনা এ বছর সড়কে কোনো যানজট ছিল না। পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি, আজ বাড়ি যাব আশা করি সরকারি ছুটির যে কয়দিন বন্ধ আছে আমিও সে কয়দিন অবস্থান করে ফিরবো।
এ বছর বাস টার্মিনালে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানালেন যমুনা লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শাহীন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর যাত্রীদের রমজানে নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় এবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও সিট ভরে নিতে কেউ কেউ ডিসকাউন্টও দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এবারের ঈদ যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। কোনো সিডিউল বিপর্যয় ছিল না যাত্রীকেই বাড়তি টাকা গুনতে হয়নি বলে জানালেন হানিফ এন্টার প্রাইজের কাউন্টার মাস্টার পাপ্পু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগেও কোনো সিডিউল বিপর্যয় ছিল না। আর আজ ঈদের দিন যাত্রীর চাপ নেই, অন্যান্য দিনের মতোই যাত্রী আসছেন নির্ধারিত দামে টিকেটও নিচ্ছেন।
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাবেন রতন মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর টিকেট কিনতে হয়েছিল বেশি দামে আজ ৭৫০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনলাম। আশা করছি ঠিক সময়ে বাড়ি যাবো। ঈদের আগে সড়কে এতটা স্বস্তি থাকবে কখনো চিন্তাও করিনি বলে জানালেন সাতক্ষীরার জাজিজ মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার সড়কে কোনো যানজট ছিল না এটা আমাদের জন্য বড় স্বস্তির খবর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোমবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শুধু বাস নয়, ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রচুর মোটরসাইকেল আরোহীকে সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৫
এসএমএকে/জেএইচ