ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদাবাজির মামলায় যশোর আ.লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে চার্জশিট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৫
চাঁদাবাজির মামলায় যশোর আ.লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে চার্জশিট শহিদুল ইসলাম মিলন

যশোর: চাঁদাবাজি এবং পাবলিক প্রসিকিউটরকে (পিপি) মারধরের মামলায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
 
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন সম্প্রতি এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

একই সঙ্গে এ মামলায় শহিদুল ইসলাম মিলনের সহযোগী শহরের ঘোপ জেল রোডের এনায়েত আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান শাহিনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম মিলন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা, মারপিট, ভাঙচুর ও লুটপাটের একটি মামলায় আটকের পর বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। পরে আরও কয়েকটি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
 
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে যশোর শহরের জজ কোর্ট মার্কেটের সামনের ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। তাকে সহযোগিতা করতেন শাহিনুর রহমান শাহিন।

২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় শাহিন চাঁদা আদায়ের জন্য ওই এলাকায় যাওয়ার পর হকারদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। পাশে থাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল সেখানে উপস্থিত হয়ে শাহিনকে চাঁদা তুলতে নিষেধ করেন।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহিন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে ফোন কল করে ডেকে আনেন। মিলন ঘটনাস্থলে এসে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) হেলালুজ্জামান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য তিনি ওইদিন রাত ৯টায় ফাঁড়িতে উভয় পক্ষকে যেতে বলেন।

কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পরপরই শহিদুল ইসলাম মিলন অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে থাপ্পড় মারেন। তিনি নিজের কাছে থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট মুকুল আদালতে মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম শফিকুল আলম। তার বদলির পর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন। তিনি সম্প্রতি এই মামলায় অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মিলন ও শাহিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৫
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।