বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে দিনাজপুরের হিলিতে হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে সৈয়দ জাফর আহমেদ ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরে আমি বিচার বিভাগের দ্বায়িত্ব পাই। দায়িত্ব গ্রহণের খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ও সাংবিধানিক সংস্কারের নীল নকশা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। সেটার প্রাপ্তি অনেকটা হয়েছে। এরপরে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদের। সংস্কারের এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে আমার সফর শুরু করেছি। আমি সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম বরিশাল থেকে যাত্রা শুরু করেছি এবং বর্তমানে রংপুর বিভাগে আছি। তাই বলতে চাই বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না।
তিনি তার বাবা মরহুম ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিভাজনের আগে ভারতের হিলি রামনাথ স্কুলে আমি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করি। আমি দেখেছি সেখানে আমার দাদা সৈয়দ জাফর আহমেদ ও আমার বড় চাচার নামে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে। আমি সেই থেকে দেখে আসতেছি দুই হিলির মধ্যে আমাদের আত্মার একটা মিল রয়েছে। সেই সুবাদে হিলিতে আমি আগেও এসেছি এবং বহুদিন পরে আজ আবারও এসেছি।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রধান বিচারপতির বাবা মরহুম ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ তার মা তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ড চালু করেন। পরে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০১৬ সালে এই হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে এসে তার দাদার নামে সৈয়দ জাফর আহমেদ মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ড চালু করেন। এরপর থেকেই এই ফান্ডের লভ্যাংশ থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্টার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরীফুল আলম ভূঁঞা, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবীর, দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়, হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিয়া, হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ফেরদৌস রহমান, কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ আজাদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৫
আরএ